নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: হাতে বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা। বাংলাদেশ থেকে ফিরছিল এক ভারতীয় যাত্রী। কিন্তু, সিকিউরিটি চেকিংয়ে ট্রলি ব্যাগ থেকে আসছিল বিপ বিপ শব্দ। জ্বলে উঠছিল মেটাল ডিটেক্টরের লাল আলো। কিন্তু, ট্রলি ব্যাগের ভিতরে কিছু নেই! আওয়াজ আসছিল ট্রলি ব্যাগের লোহার হ্যান্ডেলের পাইপ থেকে। ওই যাত্রী কাঁচুমাচু মুখে বলে, স্যর লোহার পাইপের শব্দ। যদিও সেই পাইপ খুলতেই তার ভিতর থেকে বেরিয়ে এল সোনা! পেট্রাপোল সীমান্তে এমনই অভিনব কায়দায় সোনা পাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। বিএসএফ ওই যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে লরির কেবিনে লুকিয়ে সোনা পাচারের অভিযোগে এক চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দু’টি ঘটনায় উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা।
বিএসএফ জানিয়েছে, বুধবার ওই যাত্রী বাংলাদেশ থেকে ফিরছিল। ট্রলি ব্যাগের হ্যান্ডেলের পাইপে অভিনব কায়দায় সোনা ভরা হয়েছিল। সোনার তার বানিয়ে তা পাকানো হয়। তারপর পাইপে ভরে আবার সেট করে দেওয়া হয়েছিল। জেরায় ওই যাত্রী জানিয়েছে, বাংলাদেশে অচেনা এক ব্যক্তি ওই সোনা তাকে দিয়েছিল। ট্রলিটি পার করার জন্য তাকে ৫০০ টাকা কমিশন দেওয়ার কথা ছিল। অন্যদিকে, লরিচালক মাল নামিয়ে পেট্রাপোলে ফিরছিল। লরির কেবিনে সে পাঁচটি সোনার বিস্কুট লুকিয়ে ভারতে পাচারের চেষ্টায় ছিল। তবে তল্লাশির সময় তা ধরা পড়ে যায়। ধৃত লরিচালক জানিয়েছে, বাংলাদেশের বেনাপোলে এক অপরিচিত ব্যক্তি তাকে ওই সোনা পাচারের জন্য দিয়েছিল। তার জন্য সে ২৫০০ টাকা কমিশনও পেয়েছে। দু’টি পৃথক ঘটনায় উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ ১ কেজির উপর। যার বর্তমান মূল্য আনুমানিক ৭৯ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা।
বিএসএফ জানিয়েছে, পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য উদ্ধার হওয়া সোনা এবং ধৃত দু’জনকে পেট্রাপোলে শুল্ক দপ্তরের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।