• অবস্থা বদলেছে, আবাসের বাড়ি চাই না : পাঁশকুড়ার তৃণমূল নেতা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • সততার প্রমাণ দিলেন তৃণমূল নেতা। প্রয়োজন নেই বলে ফিরিয়ে দিলেন আবাস যোজনার বাড়ি। লিখিতভাবে তিনি বিডিওকে জানিয়েছেন, যখন প্রয়োজন ছিল তখন পাননি, এখন ছেলেরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে, তাই বাড়ি নেবেন না তিনি। তৃণমূল নেতার এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিজেপি।

    আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাঁদের নামও তালিকায় আছে বলে দাবি করা হয়েছে। এর জেরে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ, অবরোধ করেছেন বিক্ষুব্ধ জনগণ। অনেক ক্ষেত্রে তৃণমূল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধেও উঠেছে অভিযোগ। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ১ নম্বর ব্লকের এই তৃণমূল নেতার কাজে খুশি হয়েছেন স্থানীয়রা। তিনি যেভাবে সততার পরিচয় দিয়েছেন তা খুবই প্রশংসনীয় বলে মনে করেন বিরোধীরা। এই তৃণমূল নেতার নাম শক্তিপদ মান্না। তিনি পেশায় কৃষক। তাঁর বাড়ি পাঁশকুড়ার নস্করদিঘিতে। শক্তিপদ মান্না তৃণমূলের বুথ সভাপতি পদে রয়েছেন। ২০১৬ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করে উপপ্রধানের পদে বসেন তিনি। বর্তমানে পরিবারকে নিয়ে তিনি মাটির বাড়িতেই বসবাস করেন। তবে তিনি জানিয়েছে, ছেলেদের উপার্জনের টাকায় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। তাই তাঁর দাবি, যাদের সত্যিই প্রয়োজন তাঁদের বাড়ি দেওয়া হোক।
    তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, ঝড়ের সময় তাঁর মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বাড়ির চালা ভেঙে জলও পড়ছিল। ছেলেরাও তখন রোজগার করতেন না। সেই সময় পাকা বাড়ির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। সার্ভে হওয়ার পর তাঁর আবেদন মঞ্জুর হয়। ২০২৪ সালে আবাস যোজনার নতুন তালিকায় তাঁর নাম আসে। ডিসেম্বরেই তিনি আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা পেতেন। কিন্তু তার আগেই প্রশাসনকে চিঠি লিখে শক্তিপদ জানিয়ে দেন, তিনি এই প্রকল্পের সুবিধা নেবেন না।

    শক্তিপদ মান্নার এই কাজকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে তাঁর নিজের দল এমনকী বিরোধীরাও। পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য স্বাগত মান্না বলেন, ‘উনি ভালো মানসিকতার বলেই বাড়িটা ফেরত দিলেন। তবে ওঁর ছেলেরা যেখানে পাকা বাড়ি তুলছেন সেই জায়গায় ওঁর নামে বাড়ি অনুমোদন হলই বা কী করে? এইভাবে অনেক তৃণমূল নেতাকর্মীরা বেআইনিভাবে বাড়ি পাচ্ছে, তারা ফেরত দিচ্ছেন না। আর যারা প্রকৃত প্রাপক, তাঁরা পাচ্ছেন না।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)