বুধবার ১৩ নভেম্বর শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সভাকক্ষে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়কুমার সরেনের উপস্থিতিতে বিশ্বভারতী কর্মী পরিষদের পৌষমেলা নিয়ে একটি বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এবার ৭ পৌষের পৌষ উৎসব বা পৌষমেলা করা হবে বলে প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়ে গেল।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ট্রাস্ট ডিড অনুযায়ী শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা করার দায়িত্বে রয়েছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। করোনাকাল ও পরিবেশ আদালতে মামলা এবং বিদায়ী উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ‘গোঁয়ার্তুমির’ কারণে পৌষমেলা পর পর দু’বছর না বসায় হস্তশিল্প-সহ জেলার অর্থনীতিতে তার একটা প্রভাব পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার ও বীরভূম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার পূর্বপল্লির মাঠের অনতিদূর বীরভূম জেলা পরিষদের বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে ‘বিকল্প পৌষমেলা’র আয়োজন করা হয়। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা করার দাবি বিভিন্ন মহল থেকেই জোরালো হচ্ছিল। বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী চন্দ্রনাথ সিংহ, বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়ের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন যে, বিশ্বভারতী পৌষমেলা করলে রাজ্য সরকার সর্বতোভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করবে।
এমন কী তিনি এটাও জানান যে, বিশ্বভারতী চাইলে তাঁদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখেই রাজ্য সরকার পৌষমেলা করার সমস্ত দায়িত্ব বহন করবে। সেইমতোই বিগত বছরে নানা টানাপোড়েনের পরে শেষ মুহূর্তে বিশ্বভারতীর শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলার আয়োজন করা হয়। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক (শেখ কাজল) দায়িত্ব নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে পৌষমেলা শেষ করে পৌষমেলার মাঠ পরিচ্ছন্ন করে দেন।
তাই এবারও পৌষমেলা যথাযথভাবে হোক, বিভিন্ন মহল থেকে এই দাবি জানিয়ে আসা হচ্ছিল। এ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়।
এরপর বিষয়টি নিয়ে বোলপুর মহকুমা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন-সহ অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে পৌষমেলার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।