বুধবার রাতে সেখানে মাটির তলার চেম্বারে হানা দিয়ে প্রচুর অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে গ্রেফতার করাহয়েছে দু’জনকে— কারখানার মালিকও কারিগর মহম্মদ মোনাজির হুসেন ও তাঁর শ্যালক মহম্মদ নাসিম। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ওই মাটির তলার চেম্বার থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৬টি ৭ এমএম পিস্তলের যন্ত্রাংশ, ৬টি পিস্তলের বাট এবং ১টি লেদ মেশিন। এ ছাড়াও ড্রিলিং মেশিন-সহ অস্ত্র তৈরিতে কাজে লাগে এমন যন্ত্রাংশ ও অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, বছর দুয়েক ধরে ওই অস্ত্র কারখানা চলছিল। অস্ত্র তৈরির জন্য মাটির তলায় চেম্বার তৈরি করা হলেও বাইরে ছিল বাসন তৈরির ব্যবসা। আর কে কে রয়েছে এর পিছনে, খোঁজ শুরু হয়েছে। এসটিএফের এককর্তা জানান, ইজরায়েল জেরার মুখে জানিয়েছিল, সে মুঙ্গের থেকে অস্ত্র নিয়ে এসেছে। তার কাছ থেকেই মুঙ্গেরেরতারাপুরের অস্ত্র কারখানার সন্ধানমেলে। এসটিএফের দাবি, গত তিন বছরে বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে ১৪টি অস্ত্র কারখানায় হানা দিয়ে তারা প্রচুর অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাঝে মাঝে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হলেও অস্ত্র আসা আটকানো যাচ্ছে না। বেআইনি অস্ত্র উৎপাদন ঠেকাতে তাই অস্ত্র কারবারিদের জেরার সূত্র ধরেই বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে অস্ত্র কারখানায় হানা দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। ভিন্ রাজ্যের পুলিশের সাহায্য নিয়ে ওই তল্লাশি আরও চলবে বলে এসটিএফ সূত্রের দাবি।