• সংকটে নামখানার মৌজার অস্তিত্ব! নদী গর্ভে নারায়ণগঞ্জ, ক্ষতিগ্রস্ত বহু...
    ২৪ ঘন্টা | ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • নকিব উদ্দিন গাজী: বর্তমানে সুন্দরবনের নামখানার নারায়ণগঞ্জ মৌজার অস্তিত্ব এখন সংকটের মুখে। হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী গিলে খেয়েছে এই মৌজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বাকি যেটুকু জমি রয়েছে, তা বাঁচিয়ে রাখতেই প্রতিনিয়ত চলছে লড়াই। শেষবার কটালেও বাঁধের বিস্তীর্ণ এলাকা নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত এক মাসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের তিনটি জায়গায় নদী বাঁধে ধস নেমেছে। এই ঘটনার জেরে ২৫ জন গ্রামবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সবারই বেশ কিছুটা করে কৃষি জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান, বিঘার পর বিঘা জমি নদী গর্ভে চলে যেতে দেখেছি। এই বছর নদী বাঁধের পাশে জমিতে দুধেশ্বর ধানের চাষ করেছিল চাষিরা গত পূর্ণিমার কটালে ধানের খেত সমেত বেশকিছু জমি অংশ নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। প্রতি বছরই একটু একটু করে নদী বাউন্ডারি ভাঙছে। সরকারিভাবে কাজ যা হয় তা অস্থায়ী, বর্ষা আসলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী বাউন্ডারির উপরে কিছু কাজ হলেও কাজের সময় কাজ হয় না এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। তবে এ বিষয়ে নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি  অভিষেক দাস বলেন, অতীতে সুবিশাল এলাকা জুড়ে নারায়ণগঞ্জ মৌজা ছিল। নদীর ভাঙনের ফলে এখন এই এলাকা অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে। দুই কিলোমিটার লম্বা ও এক কিলোমিটার চওড়া দীর্ঘ অঞ্চল নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। বহু পরিবার এই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে বাড়ি করেছেন। মূলত এই মৌজার বিপরীত দিকে হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীতে একটি নতুন চরের সৃষ্টি হয়েছে। 

    যে কারণে এই এলাকা ক্রমশ্য ভাঙছে। এছাড়াও প্রতিদিন হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর মাঝখানে নারায়ণগঞ্জের কাছাকাছি প্রায় ১০০টি করে বিদেশি পণ্যবাহী জাহাজ দাঁড়িয়ে থাকে। যে কারণে এই অঞ্চলের উপকূলে নদীর স্রোত অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাই নদীর ভাঙন বেড়েছে আরও। নামখানা ব্লক আধিকারিক অমিত কুমার সাহু তিনি বলেন, 'নদী বাঁধের বাউন্ডারিতে কাজ হচ্ছে, এডুকেশন দপ্তর কাজ করছে। এখন ঠিক আছে এবং এই যে প্রতিবছরের ভাঙন বিষয়টি নজরে রাখা হয়েছে।'

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)