পিয়ালি মিত্র: ট্যাব দুর্নীতির তদন্তে নয়া মোড়। ট্যাব দুর্নীতির তদন্তে নেমে বেশ কিছু ফরেন আইপি অ্যাড্রেসের খোঁজ পেয়েছে কলকাতা পুলিস। যে ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে ডেটা ম্যানুপুলেট করা হয়েছে, সেগুলো সেগুলো খতিয়ে দেখতে গিয়েই ওই ফরেন আইপি অ্যাড্রেসের হদিশ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে পুলিস সূত্রে। এখন এই আইপিগুলি সত্যি-ই ফরেন আইপি নাকি আসল আইপি তথ্য লুকোতে মাস্কিং পদ্ধতি করে ফরেন আইপি হিসেবে দেখানো হচ্ছে, তার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, জেলায় জেলায় ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পে ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া ট্যাবে টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে না ঢুকে অন্য 'ভূতুড়ে' অ্যাকাউন্টে গিয়ে ঢুকছে। যেমন, বর্ধমানে ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় পাকড়াও করা হয়েছে মালদহের এক যুবককে। পুরুলিয়ার জেলার বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুরুলিয়া জেলার চার বিদ্যালয়ের ২৯ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা উধাও। পুরুলিয়ার পাড়া থানার আনাড়া মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ জন ছাত্রীর টাকা ভিন জেলার অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। একইভাবে রঘুনাথপুর মহকুমার চেলিয়ামা বিজলিপ্রভা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ জন পড়ুয়া, বলরামপুর থানার দড়দা খেলু হেমব্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১ জন পড়ুয়ার এবং বান্দোয়ান থানার বান্দোয়ান ঋষি নিবারণচন্দ্র বিদ্যাপীঠের ৩ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা ঢুকেছে ভিন জেলার অ্যাকাউন্টে।
একই ছবি ঝাড়গ্রামেও। কলকাতাতেও ট্যাব জালিয়াতি! বিভিন্ন থানায় শতাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই তদন্তে সিট গঠন করেছে কলকাতা পুলিস। 'তরুণের স্বপ্ন' প্রকল্পে এবার আর শুধু দ্বাদশ শ্রেণি নয়, একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদেরও ট্যাবের জন্য টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু জেলায় জেলায় সেই টাকা হ্যাকাররা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিস সূত্রে খবর, সব জেলা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৭৮১ পড়ুয়ার টাকা লোপাট হয়ে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ঝাড়গ্রামে।