বিধায়ক ছিলেন, এখন সাংসদ। অরূপ বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা, তাঁরা তো এই টাকা বিলি করে না। টাকা সরকারিভাবে বিলি হয়। ছাত্রদের নাম, ছাত্রদের অ্যাকাউন্ট নম্বরে। সে তো সরকারের কাছে আবেদন করেছে। যারা করছে, এটা আমাদের দেশে গুলি করার অর্ডার নেই, ফাঁসির অর্ডার আছে। এদের তো এই ধরণের শাস্তি হওয়া উচিত। যারা সরকারের বদনাম করে, যারা ছাত্রদের প্রতি প্রতারণা করে, তাঁদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত'।
ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্যে ফের চালু হয়ে গিয়েছে 'তরুণের স্বপ্ন'। স্রেফ দ্বাদশ শ্রেণি নয়, এই প্রকল্পে এবার একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাবের জন্য টাকা দিচ্ছে রাজ্য। কিন্তু জেলায় জেলায় সেই টাকা হ্যাকাররা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকী, কলকাতায়ও ট্যাবের টাকা না পেয়ে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে শতাধিক পড়ুয়া।
এদিকে ট্যাব কেলেঙ্কারিতে যখন তৃণমূলকে কাঠগড়া তুলছে বিরোধীরা, তখন শাসকদলেরই সাংসদের মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে। সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের পাল্টা কটাক্ষ, 'রাজ্যের প্রশাসনের জন্ম তো দিয়েছে অরূপবাবুর নেত্রী। অরূপবাবুর নেত্রী, গোটা মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চলছে, এটা অরূপবাবুরা কি জানেন? যদি তিনি বলেন গুলি করে মারা উচিত, তাহলে অরূপবাবু আগে বন্দুক জোগাড় করে ওনার নেত্রীর মাথায় গুলিটা করে দিতেন। দৃষ্টান্ত স্থাপন করতেন'।
কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ বলেন, তৃণমূল সরকার যবে থেকে হয়েছে, একের এক দুর্নীতি, একের এক কেলেঙ্কারি, সংগঠিত দুর্নীতি। দুর্নীতির মাথা ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত। অরূপবাবুরা সবই জানেন, একটু না জানার ভান করছেন আর কি। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদের ওনাদের কেন বলতে যাবে! তৃণমূলের এই চৌর্য সাম্রাজ্য, তাতে উনিও একজন সাংসদ। একটা আয়না কিনে নিজেদের মুখটা একটু দেখুন'।