• তৃণমূল কাউন্সিলরের উপর হামলায় ধৃত নাবালক বিহারের বাসিন্দা, প্রাথমিক তথ্য পুলিশের
    প্রতিদিন | ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভর সন্ধেবেলা নিজের বাড়ির সামনের রাস্তাও যে এমন মৃত্যুপুরী হয়ে উঠতে পারে, তা তো দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ! অথচ চোখের পলকে ঘটতে যাচ্ছিল তেমনই ঘটনা। কলকাতা পুরসভার ১০৮ নং ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে ছুটে এল একঝাঁক গুলি। বরাতজোরে অক্ষত তিনি। তড়িঘড়ি তিনি এবং তাঁর সঙ্গে থাকা কর্মীরাই ধরে ফেলেন ‘শুটার’কে। পুলিশ সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আক্রমণকারী নাবালক এবং বিহারের বাসিন্দা। আদতে বৈশালীর বাসিন্দাকে সুপারি দিয়ে কেউ বা কারা তাঁকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ সুশান্তবাবুর। এর পিছনে বড় চক্রের হাত দেখছেন তিনি। এই ঘটনায় আতঙ্কিত কাউন্সিলরের ভাবনা, এর পর আদৌ রাজনীতি করবেন? ঘটনার খবর পেয়ে খোঁজ নিতে সুশান্তবাবুকে ফোন করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

    শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবায় নিজের বাড়ির সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। সেসময় দুই দুষ্কৃতী বাইকে চড়ে এসে তাঁর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। বাইকের পিছনে বসা ব্যক্তি পিস্তল বের করে সুশান্তবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও কারণে ট্রিগার জ্যাম হয়ে গিয়ে গুলি বেরয়নি। অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা হয় তৃণমূল কাউন্সিলরের। এর পর অবশ্য সুশান্তবাবুর সঙ্গীরা হামলাকারীদের তাড়া করে একজনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ জানায়, ধৃত একজন নাবালক। কে বা কারা তাকে এই কাজের জন্য পাঠিয়েছিল, সেটাই এখন তদন্তের বিষয়।

    পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালক আসলে বিহারের বৈশালীর বাসিন্দা। তাকে সুপারি দিয়ে পাঠিয়েছিল মহম্মদ ইকবাল নামে এক ব্যক্তি। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নাইন এমএম পিস্তল। সেই পিস্তলটি চালাতে গিয়েই শেষমুহূর্তে ট্রিগার জ্যাম হওয়ায় ‘মিশন’ ব্যর্থ হয়েছে। কে এই মহম্মদ ইকবাল, কী কারণেই বা সুশান্তবাবুকে খুনের ষড়যন্ত্র, সেসব খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ধৃত নাবালকের বয়ানের উপর নির্ভর করে সূত্র বের করতে মরিয়া তদন্তকারীরা।

    এই ঘটনার পর সুশান্ত ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে যান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিধায়ক জাভেদ খান, মন্ত্রী দেবাশিস কুমার। পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে কিনারা করার চেষ্টা চলছে। এই ঘটনার পর কাউন্সিলরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে তাঁর সঙ্গে থাকবেন ৪ সশস্ত্র পুলিশ। তবে এসবের পর সুশান্তবাবুর মন্তব্য, ”নিজের বাড়ির সামনে এমন ঘটনা! ভাবতেই পারছি না। এর সঙ্গে বড় কোনও চক্র জড়িত। এসবের পর রাজনীতিতে থাকব কিনা, ভাবতে হবে।” সুশান্ত ঘোষের উপর গুলি চালানোর চেষ্টার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাল প্রদেশ কংগ্রেস। 

    দেখুন ভিডিও: 
  • Link to this news (প্রতিদিন)