শুধু লেক মার্কেট এলাকায় নয়, শহর এবং রাজ্যের আরও কয়েকটি জায়গায় লটারি প্রতারণা মামলায় তল্লাশি চালায় ইডি। পাশাপাশি, দক্ষিণ ভারতের চেন্নাইয়ের একাধিক জায়গাতেও তদন্তকারী দল তল্লাশি চালিয়েছে। দেশ জুড়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে এ রাজ্য থেকেই তিন কোটির বেশি টাকা পেয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা।
অভিযোগ উঠেছিল, লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা হয়েছে। আর এই প্রতারণার ঘটনায় প্রভাবশালী যোগেরও তত্ত্ব উঠে এসেছে। সেই মামলারই তদন্তে দিল্লি থেকে এ রাজ্যে আসে ইডির বিশেষ দল। বৃহস্পতিবার তারা লেক মার্কেট এবং কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন মাইকেলনগরে তল্লাশি অভিযানে যায়। মাইকেলনগরে লটারির ছাপাখানা এবং গুদাম রয়েছে। সেখানেই তল্লাশি চালানো হয়। অন্য দিকে, লেক মার্কেটের এক আবাসনেও তল্লাশি চালায় ইডি। শুক্রবার ওই আবাসনে তল্লাশি চালানোর সময় কয়েক কোটি নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, লটারি ব্যবসায়ী সান্তিয়াগো মার্টিন তোলপাড় ফেলে দেন ২০২৪ সালে, যখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের তথ্যে দেখা যায়, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি চাঁদা দিয়েছিল তাঁরই সংস্থা ‘ফিউচার গেমিং’। বন্ডের মাধ্যমে মোট ১৩০০ কোটি টাকারও বেশি চাঁদা দেওয়া সেই মার্টিনের সংস্থা ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যের অন্তত ২০টি ঠিকানায় একযোগে তল্লাশি চালায় ইডি। এর মধ্যে ছিল মহিষবাথান ও মাইকেলনগর-সহ কলকাতার আশেপাশের চারটি ঠিকানা।