নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: প্রতি বছর বন্যা হলেই জলে ঢুকে পড়ে মাটিয়ারি পঞ্চায়েতের নিচুপাড়া এলাকায়। জল বেরনোর জায়গা না থাকায় তা জমিতেই অবরুদ্ধ হয়ে যায়। যার ফলে সেই এলাকার ফসল, জমা জলে পচে গিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। তাই দীর্ঘদিন ধরে সেখানে একটি কালভার্ট তৈরির দাবি ছিল এলাকাবাসীর। অবশেষে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের উদ্যোগে সেই এলাকায় কালভার্ট তৈরি হতে চলেছে। সংসদ তহবিল থেকে ৬৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শুক্রবার তারই শিলান্যাস করেন মহুয়া মৈত্র। খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এর ফলে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।
মহুয়া বলেন, ‘মাটিয়ারির বাসিন্দারা তাদের এলাকায় একটি কালভার্ট তৈরি করার জন্য আবেদন করেছিলেন। ওখানে কার্লভার্ট হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তাই সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে ওই এলাকার কালভার্ট তৈরি হচ্ছে। এতে মাটিয়ারি সহ আশেপাশের চারটি গ্রামের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।’
কালীগঞ্জ ব্লকের ভাগীরথীর নদীর তিরের মাটিয়ারি পঞ্চায়েত। সেইসঙ্গে রয়েছে গোবরা, জুড়ানপুর, ফরিদপুর পঞ্চায়েত। এই চার গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকদিনের দাবি ছিল মাটিয়ারির নিচুপাড়া এলাকায় একটি কালভার্ট তৈরি করার। যাতে জমা জল কালভার্টের নীচ দিয়ে ভাগীরথীতে গিয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, ওই এলাকার চারটি পঞ্চায়েতের ছটি মৌজা - কান্দিকপুর, চাঁদুরিয়া, চকমহেশপুর, গোবরা, মহেশপুর, বসতপুর জল জমে যাওয়ায় বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিবছর। সেখানে প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার বিঘা জমি রয়েছে। জল জমে যাওয়ার কারণে ধান রোপন করা যায় না। পাশাপাশি, ভালো রাস্তা না থাকায় ট্রাক্টরে করে ফসল আনতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় চাষিদের। এই কালভার্টের ফলে গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থাও আরও ভালো হবে বলে দাবি গ্রামের বাসিন্দাদের।
অতীতে প্রাক্তন সাংসদ তাপস পালকেও এই দাবি জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু তখন কাজ হয়নি। অবশেষে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নির্বাচনের আগে বিষটি জানান গ্রামের বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা। ভোট মিটলেই এই কাজ শুরু করার কথা দিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। সেইমতো সাংসদ তহবিল থেকে কালভার্ট তৈরি করার জন্য ৬৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন। শুক্রবার তার শিলান্যাস হয়।