• ট্যাবের টাকা গায়েব কাণ্ডে জড়িতদের গুলি করে মেরে দেওয়া উচিত: অরূপ
    বর্তমান | ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে ট্যাবের টাকা গায়েব কাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গুলি করে মেরে দেওয়া উচিত। এমনই মন্তব্য করেন বাঁকুড়ার সাংসদ তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী। একইসঙ্গে অরূপবাবু ওই ঘটনার পিছনে বিজেপির চক্রান্ত থাকতে পারে বলেও অভিযোগ তুলেছেন। সাংসদের মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অরূপবাবু শুক্রবার বলেন, রাজ্য সরকার ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার জন্য ট্যাব দিচ্ছে। সেই টাকাও কেউ কেউ হাতিয়ে নিচ্ছে। এদের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ গায়েব করা হচ্ছে। ওইসব ঘটনায় জড়িতদের দাঁড় করিয়ে গুলি করে মেরে দেওয়া উচিত। কিন্তু, দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশে সেই আইন নেই। তবে এদের যাতে ফাঁসিকাঠে ঝোলানো যায়, সেই ব্যবস্থা করা উচিত। তিনি বলেন, ট্যাব কাণ্ডে অপরাধের শিকড় বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ছড়িয়ে রয়েছে। ফলে প্রশ্ন জাগছে, এর পিছনে বিজেপি নেই তো? রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে বিজেপি নেতারা চক্রান্ত করছে না তো? এর যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। 


    বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, আমাদের দলকে জড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ অত্যন্ত হাস্যকর কথা বলছেন। স্কুল পরিচালন সমিতিগুলিতে অরূপবাবুর দলের লোকজন বসে রয়েছে। তারাই উপভোক্তা ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর হ্যাকারদের দিয়েছে। তার বিনিময়ে তারা টাকাও নিয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত হলে সব কিছু বের হবে। অরূপবাবুদের সাহস থাকলে ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দিক। 


    উল্লেখ্য, বাঁকুড়ার ১০টি হাইস্কুলের অন্তত ৪৭ জন ছাত্রছাত্রীর ট্যাবের টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্টেও ট্যাবের টাকা ঢুকেছে বলে বাঁকুড়া সাইবার ক্রাইম থানার পুলিস জানতে পেরেছে। ফলে জেলা পুলিস সংশ্লিষ্ট রাজ্যে তদন্তকারী টিম পাঠাতে পারে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। আপাতত বিষয়টি নিয়ে পুলিসের তরফে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। তবে ইতিমধ্যেই সন্দেহজনক বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট পুলিস ‘ফ্রিজ’ করিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জেলা পুলিসের কর্তারা জানিয়েছেন। 


    বাঁকুড়ার পুলিস সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া হয়ে পাঞ্জাবের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। আমরা কয়েকজন সন্দেহভাজনকে জেরা করেছি। দ্রুত সব কিছু খোলসা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে কয়েকজন ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা ফেরানো সম্ভব হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)