• প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের ১২ জন আত্মীয়ের নাম আবাসের তালিকায়
    বর্তমান | ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: ভূতনির লুটিহারা গ্রামে আবাসের তালিকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, দক্ষিণ চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের ১২ জন আত্মীয়ের নাম তালিকায় রয়েছে। গ্রামের আর কোনও পরিবারের নাম তালিকায় নেই। পাশাপাশি তালিকায় নাম তুলতে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী আবির আলির বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা মালদহের জেলাশাসক ও মানিকচকের বিডিওকে লিখিত অভিযোগ  দায়ের করেন। গ্রামবাসীদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ডিএম নীতিন সিঙ্ঘানিয়া। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি আবিরের।


    দক্ষিণ চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের সুকদেবটোলা বুথের অন্তর্গত লুটিহারা গ্রামে প্রায় চারশো পরিবারের বসবাস। বেশিরভাগ মানুষের বাড়ি কাঁচা। কেউ দিনমজুর। কেউ ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক। এবছরের আবাসের তালিকায় তাঁদের নাম থাকবে বলে আশায় ছিলেন বাসিন্দারা। কিন্তু তালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায় চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের। বাসিন্দাদের দাবি, গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য আদুরি বিবির পরিবারের সদস্যদের নাম ছাড়া গ্রামের আর কোনও পরিবারের নাম নেই আবাসের তালিকায়।


    স্থানীয় বধূ মমতাজ বেগম বলেন, কিছুদিন আগে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ দুর্যোগ কাটিয়ে কুঁড়ে ঘরে ফিরেছি। ভেবেছিলাম আবাসের টাকা এলে পাকা বাড়ি বানাব। আগে আমার বাড়ি তিনবার দেখে গিয়েছেন আধিকারিকরা। তারপরও তালিকায় আমার নাম নেই।


    মমতাজের অভিযোগ, আবাসের তালিকায় নাম তুলতে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী আবির আলিকে টাকাও দিয়েছিলাম। 


    তারপরও নাম নেই। বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলির নাম তালিকায় না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দা দানেশ আলি মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া, মানিকচকের বিডিও ও এসডিও’র কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। দানেশের কথায়, আবাসে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর নাম রয়েছে। তাঁর চার ভাইয়ের নাম রয়েছে। তাঁর আত্মীয়দের নামও রয়েছে। 


    আবাসে যাঁদের নাম উঠেছে, তাঁদের কেউ ঠিকাদার, কেউ পঞ্চায়েত কর্মী। প্রত্যেকেরই পাকা বাড়ি রয়েছে। গ্রামের বিভিন্ন পরিবারের কাছে ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তুলেছেন তিনি। যদিও আবিরের দাবি, আমি ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে সার্ভে করে তালিকা তৈরি হয়েছে। আগে যাঁদের কাঁচা বাড়ি ছিল এখন হয়তো তাঁরা পাকা বাড়ি বানিয়েছেন। তাই হয়তো আবাসে নাম ওঠেনি। বিষয়টি প্রশাসন দেখে। 
  • Link to this news (বর্তমান)