হিমঘরে ৩০ নভেম্বর পর্যন্তই আলু রাখা যাবে, জারি নোটিস
বর্তমান | ১৬ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের হিমঘরগুলিতে আলু মজুত রাখার সময়সীমা ৩০ নভেম্বর শেষ হয়ে যাবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে কৃষি বিপণন দপ্তর। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে হিমঘরে মজুত সব আলু বের করে দেওয়ার জন্য হিমঘর মালিকদের নোটিস দিয়েছে দপ্তর। এই প্রেক্ষিতে বিভিন্ন জেলায় হিমঘর মালিকদের সংগঠনগুলিও ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আলু বের করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। কয়েকবছর ধরে নির্ধারিত ৩০ নভেম্বরের পরও, অতিরিক্ত প্রায় একমাস হিমঘরে আলু রাখার অনুমতি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এবছর যে তা হবে না সেটা সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বলা আগেই জানানো হচ্ছিল। কিছুদিন আগে নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের ডাকা এক বৈঠকেও একথা জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপর কৃষি বিপণন দপ্তর সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তি জারি সরকারিভাবেই তা জানিয়ে দিল।
হিমঘর মালিক সংগঠনের কর্তা পতিতপাবন দে জানিয়েছেন, এখনও হিমঘরগুলিতে ১০ লক্ষ টনের বেশি আলু মজুত আছে। ৩০ নভেম্বরের পরেও যত আলু ভিতরে থেকে যাবে তার কী হবে, সেটা তাঁরা জানেন না। হিমঘরে যাঁরা আলু রেখেছেন, সরকারি বিজ্ঞপ্তি পাওয়ামাত্রই তাঁদের তা বের করে নিতে বলা হয়েছে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সময়সীমা বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে কোনও অনুরোধ এখনও তাঁরা জানাননি। এই পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ২৪ নভেম্বর বৈঠকে বসছে তাঁদের সংগঠন। রাজ্য সরকারের তরফে অনেক আগে থেকে হিমঘরে মজুত আলু দ্রুত বের করার জন্য ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও শেষ সময়ে প্রচুর আলু রয়ে গিয়েছে। সরকারি সূত্রের দাবি, কম পরিমাণে আলু বের করে দাম বেশি রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, চাহিদা কম থাকার জন্যই এটা হয়েছে। তবে কারণ যাই হোক না কেন, হিমঘরে প্রচুর পরিমাণে মজুত থাকা সত্ত্বেও খুচরো বাজারে আলু দাম কমছে না। নবান্নে বৈঠকের পরেও জ্যোতি আলু ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে! যদিও পাইকারিতে দাম ২৭-২৮ টাকার মধ্যে।