• কলকাতা বইমেলার ৪৮ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার ফোকাল থিম হচ্ছে কান্ট্রি জার্মানি
    বর্তমান | ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: শীত মানেই কলকাতায় বইমেলা। দুর্গাপুজোর পর বাঙালির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। ২৮ জানুয়ারি সল্টলেকের বইমেলা প্রাঙ্গণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে শুরু হচ্ছে ‘৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা’। ৪৮ বছরের ‌ই঩তিহাসে এই প্রথমবার কলকাতা বইমেলায় ফোকাল থিম কান্ট্রি হচ্ছে জার্মানি। গতবার ফোকাল থিম কান্ট্রি ছিল ‘ইউকে’। থিম কান্ট্রির প্যাভিলিয়নে থাকবে আর্কষণীয় ডিজাইন। যার নকশা তৈরি করবেন নামী ভারতীয় স্থপতি অনুপমা কুণ্ডু। অন্যদিকে এবারও বইমেলায় থাকবে এক হাজার ৫০টি স্টল। অর্থাৎ সংখ্যা বাড়ছে না স্টলের। পাঠকদের সুবিধার জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন মোবাইল অ্যাপ। তবে এবারের বইমেলায় বাংলাদেশ অংশ নেবে কি না, তা এখনও অনিশ্চিত। সেখানকার বহু প্রকাশক আসতে চাইলেও সরকারিভাবে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েনি।


    শুক্রবার পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এবারের বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রির নাম ঘোষণা করে গিল্ড। সেখানে কলকাতার জার্মান ভাইস কনসাল সিমোন ক্লাইসপাস, কলকাতার গ্যোটে ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অ্যাস্ট্রিড ভেগে, পাবলিসার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে, সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় সহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন থিম কান্ট্রির অফিসিয়াল লোগোও প্রকাশ হয়। জার্মান ভাইস কনসাল বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে জার্মানির বন্ধুত্ব অনেক পুরনো। কলকাতা বইমেলায় অংশ নিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।’


    গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে বলেন, ‘জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফার্ট বইমেলার ভাবনা থেকেই ১৯৭৬ সালে কলকাতা বইমেলার পথ চলা শুরু হয়েছিল। আগে স্টল করলেও কোনওদিন জার্মানি থিম কান্ট্রি ছিল না। এই প্রথমবার ফোকাল থিম কান্ট্রি হচ্ছে এই দেশ’। ২০২৪ সালের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় ২৭ লক্ষ বইপ্রেমী এসেছিলেন। বই বিক্রি হয়েছিল ২৩ কোটি টাকার। এবার আরও বেশি মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছি।’


    গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘গতবার এক হাজার ২০০ স্টলের আবেদন পড়েছিল। রিং রোড মিলিয়ে এক হাজার ৫০টি স্টল করা হয়েছিল। কিন্তু জরুরি প্রয়োজনের জন্য রিং রোড খালি রাখতে বলা হয়েছে। ফলে, রিং রোডের স্টল এবার বইমেলার ভিতরে ঢোকাতে হবে। তাই এবার এক হাজার ৩০০ আবেদন জমা পড়লেও স্টল বাড়ানো যাচ্ছে না। ২৮ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বইমেলা চলবে। মেলার সময় সরস্বতী পুজো রয়েছে। সবমিলিয়ে উৎসবের আমেজ থাকবে।’ -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)