• ভিন রাজ্যের আইভিএফ সেন্টারে ডোনার  নিয়ে যেত শিশু পাচার-কাণ্ডের ২ অভিযুক্ত
    বর্তমান | ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শিশু পাচার-কাণ্ডে অভিযুক্ত মানিক হালদার ও তার স্ত্রী মুকুল হালদার ভিন রাজ্যের আইভিএফ সেন্টারে মহিলা ও পুরুষ ডোনার নিয়ে যেত। এর বিনিময়ে তারা ভালো পরিমাণ টাকা কামাত। তদন্তে নেমে এই তথ্য হাতে এসেছে সিআইডির। কারা কারা এভাবে ডোনার হিসেবে অন্য রাজ্যে গিয়েছিল, তাদের নাম জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।


    শিশু বিক্রি ও পাচারের তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে, অভিযুক্ত  মুকুল হালদার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ডোনার খুঁজে বেড়াত। মূলত বস্তি এলাকা ও আয়া সেন্টারে কাজ করতে আসা মহিলারাই ছিল তার টার্গেট। আইভিএফ সেন্টারে ‘এগ সেল’ বিক্রি করলে ভালো টাকা পাওয়া যাবে বলে তাদের প্রস্তাব দেওয়া হতো। তাদের স্বামীরা স্পার্ম দিতে রাজি থাকলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে নেওয়া হতো। যারা রাজি হতো, তাদের নিয়ে যাওয়া হতো বিহারের বিভিন্ন ছোটখাটো আইভিএফ সেন্টারে। যাতায়াত থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচ বহন করত অভিযুক্তরাই। সেই সঙ্গে তাদের বলা হতো, অন্য কোনও মহিলা বা পুরুষ এভাবে ডোনার হতে চাইলে যেন যোগাযোগ করে। সেক্ষেত্রে কমিশনও মিলবে। এই টোপ গিলে অনেকেই ডোনার জোগাড় করে আনত। তদন্তকারীদের দাবি, এভাবে তাদের দলে কয়েকশো ডোনার কাজ করছে, যাদের বেশিরভাগই এই রাজ্যের। বিহার সহ অন্যান্য রাজ্য থেকেও একই কায়দায় তারা ডোনার জোগাড় ক঩রেছিল বলে জানা যাচ্ছে। তাদের দান করা ‘স্পার্ম’ বা ‘এগ সেল’ সংরক্ষণ করে রাখা হতো এসব আইভিএফ সেন্টারে। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে, ল্যাবরেটরিতে শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলন ঘটিয়ে বিভিন্ন মহিলার গর্ভে তা প্রতিস্থাপন করা হতো। সন্তান জন্মালে মোটা টাকার বিনিময়ে তাকে বিক্রি করে দেওয়া হতো কোনও নিঃসন্তান দম্পতিকে। 
  • Link to this news (বর্তমান)