• তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুন করতে বিহারের 'সুপারি কিলার'? কসবা শুটআউটে নয়া তথ্য!
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • পিয়ালি মিত্র ও বিক্রম দাস: কসবা শুটআউটে নয়া তথ্য। কসবায় কাউন্সিলর খুনের চেষ্টায় বিহার যোগ। মোট ৩ জন আসে বিহারের বৈশালী থেকে। তাদের খিদিরপুরে একটা জায়গায় রাখা হয়।  সেখান থেকে দুজন বাইকে করে আসে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান ৫ থেকে ৬ যুক্ত এই ঘটনার সঙ্গে। খিদিরপুর থেকে প্রথমে একটা ট্যাক্সি করে আসে অভিযুক্তরা। তারপর স্কুটিতে করে স্পটে পৌঁছয়। সেই ট্যাক্সিচালককে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। ট্যাক্সিচালক ঘটনার সম্পর্কে জানে এবং সে-ই বাকিদের পালাতে সাহায্য করে বলে অনুমান। ওদিকে ধৃতকে জেরা করে ঘটনার সম্পর্কে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস।

    প্রশ্ন হচ্ছে, কাউন্সিলরকে ভয় দেখানোর জন্য কী পাঠানো হয়েছিল বিহারের যুবককে? তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, বন্দুকের ট্রিগার লক হয়নি! জেরায় ধৃত যুবক দাবি করে, গতকাল বিহার থেকে নিয়ে আসা তিনজনকে খিদিরপুর থেকে ট্যাক্সি করে তিলজলা এলাকাতে নিয়ে আসা হয়। "মহম্মদ ইকবাল" নামে এক ব্যক্তি ধৃতকে কাউন্সিলরের ছবি দেখায়। বলে একে মারতে হবে! তারপর স্থানীয় এক যুবকের স্কুটারে পিছনে বসে কসবা যেতে বলা হয়। ধৃতের দাবি, "ইকবাল" তাকে বলেছিল "বন্দুক দিয়ে ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যাবে তুমি। আমরা পিছনে ট্যাক্সিতে থাকব। বাকি কাজ আমরা করে নেব।"

    এখন ধৃতের দাবি কতটা সত্যি, তা  জানার চেষ্টা করছে পুলিস। পরে আর কী কী পরিকল্পনা ছিল, সেটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিস। বাকিরা ধরা পড়লে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে পুলিস। টাকার প্রসঙ্গে ধৃতের দাবি, প্রথমে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষে ২৫০০ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু কোনও টাকা-ই সে পায়নি বলে দাবি ধৃতের। সেই সত্যতাও যাচাই করছে পুলিস। ইতিমধ্যেই সুশান্ত ঘোষের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল ভরসন্ধেয় বাড়ির সামনেই তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে 'গুলি চালানোর চেষ্টা' করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার পর সুশান্ত ঘোষ বলেন, 'আমি হতাশ, এরপর রাজনীতিতে থাকব কিনা ভাবব'!

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)