জনজাতি গোষ্ঠীর পাশে থাকতে রাজ্য সরকার যে বিবিধ প্রকল্প এবং পরিকল্পনা নিয়েছে, কিছু দিন আগেই ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে তা সবিস্তারে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গ সফর সেরে কলকাতায় ফিরে শুক্রবার সেই তালিকায় তাঁর নয়া সংযোজন— ‘‘আদিবাসী উন্নয়ন খাতে এ বার বাজেট বরাদ্দও বৃদ্ধি পাবে অনেকটাই।’’ সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, জনজাতি গোষ্ঠীর পড়ুয়াদের জন্য গড়া হবে ৩১০টি নতুন হস্টেল। ‘জয় জোহর প্রকল্প’-তে পেনশন ভোগীদের বরাদ্দও হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হবে ১৮০০ টাকা। এরই মধ্যে জনজাতি উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকও ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, আগামী সোমবার ‘ট্রাইবাল অ্যাডভাইজ়রি কাউন্সিল’-এর ওই বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে জনজাতি সম্পর্কিত সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনে নিউটাউনের আদিবাসী ভবন প্রাঙ্গণে সাত দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, জনজাতি কল্যাণে তাঁর সরকার বরাবরই প্রাধান্য দিয়ে এসেছে। এ দিন আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাতে মুখ্যমন্ত্রী ধামসা, মাদল তুলে দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের নাচের সঙ্গে তাঁকে পা মেলাতেও দেখা যায়। খেলাধুলোয় জনজাতি গোষ্ঠীর কৃতিত্বের কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘গর্ব করে বলতে পারি আগামী দিনে এরা অলিম্পিক জিতবে।’’
বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রাজভবনে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আদিবাসী সমাজের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মদিনে ‘জনজাতি গৌরব দিবস’ পালন করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত। রাজভবনের ইতিহাস ও গুরুত্ব তাদের সামনে বর্ণনা করেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য শোনেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি জগন্নাথ ঘাট ও তারাসুন্দরী পার্কে দেব দীপাবলির অনুষ্ঠানে যোগ দেন।