ওই কাজের জন্য কিছু ট্রেন ঘুরপথে চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি বলেন, "ঘুরপথে চলার জন্য কিছু দেরি হতে পারে। তবে ট্রেনে জল না থাকার কারণ নেই।"
রেল সূত্রের খবর, ‘ইন্টারলকিং’-এর কাজের জন্য দৈনিক গড়ে ৬০টির কাছাকাছি লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছে। কর্ড লাইন দিয়ে চলে এমন একাধিক দূর পাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনকে মেন লাইন দিয়ে ঘোরানো হয়েছে। শিয়ালদহ থেকে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলির মধ্যে ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’ বলে দার্জিলিং মেল ছাড়া, বাকি সব ট্রেন ব্যান্ডেল থেকে কাটোয়া-আজিমগঞ্জ শাখা দিয়ে চালানো হচ্ছে। একটি মাত্র লাইন দিয়ে হাওড়ার দিক থেকে আসা ট্রেন পারাপার করা যাচ্ছে। ওই পথে রাতের দিকে বৈদ্যুতিক স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা সচল না থাকায়, সতর্ক ভাবে ট্রেনগুলিকে নির্দিষ্ট পথ পার করাতে অনেক সময় লেগে যায়।
যাত্রীদের অভিজ্ঞতা, বৃহস্পতিবার রাত ১০-০৫-এ শিয়ালদহ থেকে ছাড়ার পরে দার্জিলিং মেল ধীরে চলছিল। বর্ধমান পৌঁছতে ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরি করে। অন্য দিন যে ট্রেন সকাল ৮টা ৫ মিনিট নাগাদ এনজেপি পৌঁছয়, এ দিন তা প্ল্যাটফর্মে ঢোকে বেলা ১২টা ৫৬ মিনিটে। প্ল্যাটফর্মে নেমেই যাত্রীদের একাংশ দাবি করেন, একাধিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার শৌচাগারে জল ফুরিয়ে গিয়েছিল। এক যাত্রী বলেন, ‘‘দার্জিলিং মেলের মতো গরিমাযুক্ত ট্রেনে সফরের খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা হল।