এ দিন অনেকের কথাতেই উঠে আসে, কী ভাবে খুন ও ধর্ষণের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি, এখনও বিচার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন উপস্থিত সকলেই। ‘মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার’-এর রাজ্য সম্পাদক, চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্র তুলে ধরেন ৯ অগস্টের পরে জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে আতঙ্কের ছবি। বিপ্লব বলেন, ‘‘সেই মুহূর্ত থেকে আমরা আন্দোলনের পথে ছিলাম। আজও রয়েছি।’’ আয়োজকেরা জানান, আন্দোলনকে নির্দিষ্ট দিশা দেখানোর জন্য এই কনভেনশনের আয়োজন। সেখানে আগামী দিনের কয়েকটি কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজে হুমকি-প্রথার বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর জি করের আন্দোলন গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে মহিলাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। যাতে খুন বা ধর্ষণের মতো ঘটনায় ওই কমিটি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিরোধ করতে পারে। আবার, হুমকি-প্রথায় অভিযুক্ত আর জি করের ৫১ জন, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ১০ জনকে বাঁচানোর চেষ্টা রাজ্য প্রশাসন করছে, এই অভিযোগ তুলে ১৮ নভেম্বর স্বাস্থ্য দফতরে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
‘সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম’-এর সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, ‘‘আন্দোলন আজ সন্ধিক্ষণে এসে পৌঁছেছে। এতে গণজাগরণ ঘটেছে ও বেশ কিছু দাবি আদায় হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত দোষীরা এখনও অধরা। তাই আন্দোলনকে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলনের রূপ দিতে হবে।’’ আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা চিকিৎসক দেবাশিস হালদারও আন্দোলন জিইয়ে রাখার ডাক দেন। অনিকেত মাহাতো, আশফাকউল্লা নাইয়াও ভিডিয়ো বার্তায় আন্দোলন জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।