• কলকাতায় নিমতলা ঘাটের কাছে কাঠের গুদামে আগুন, ২০টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় প্রায় ৭ ঘণ্টা পরে নিয়ন্ত্রণে
    আনন্দবাজার | ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • শুক্রবার বেশি রাতের দিকে কলকাতার নিমতলা ঘাটের কাছে একটি কাঠের গুদামে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, আনুমানিক রাত দেড়টা নাগাদ মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডের ধারে ওই কাঠের গোলায় আগুন লাগে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রায় ৭ ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দুর্ঘটনায় কারও প্রাণহানি না হলেও, আশপাশের একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, প্রায় ১৭টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক শশী পাঁজাও সকালে ছিলেন দুর্ঘটনাস্থলে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন শশী। তাঁদের পুনর্বাসনেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কী ভাবে আগুন লাগল, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, রাতে আগুন লাগার পর তাঁরা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। অনুমান করা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডার ফাটার কারণে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে।

    দমকলমন্ত্রী শনিবার ভোরের দিকে জানিয়েছেন, প্রথমে দমকলের চারটি ইঞ্জিন দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল। পরে আরও ইঞ্জিন আসে। সব মিলিয়ে ২০টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নতুন করে ছড়িয়ে পড়া আটকানো সম্ভব হয়েছে। রাজ্যের অপর মন্ত্রী শশী পাঁজাও শনিবার সকালে জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের আপাতত অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে কমিউনিটি হলকে এই কাজে ব্যবহার করা হবে।

    দমকলের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরাও দুর্ঘটনাস্থলে ছিলেন। প্রথমে একটি কাঠের গুদামে আগুন লাগলেও, দ্রুত তা আশপাশের অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, দাহ্য বস্তু থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি গঙ্গার হাওয়ার জন্যও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছিল দমকলকর্মীদের।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)