• কসবা-কাণ্ডে পুলিশকে কড়া ভাষায় সতর্কবাণী ফিরহাদের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৬ নভেম্বর ২০২৪
  • কসবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশকে কড়া ভাষায় সতর্ক করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ভিনরাজ্য থেকে সংগঠিত হওয়া অপরাধ নিয়েও পুলিশকে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম কসবা শুটআউট কাণ্ডে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিলেন।

    এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ফিরহাদ বলেন, ‘এনাফ ইজ এনাফ। উত্তরপ্রদেশের কালচার, বিহারের কালচার, আহমেদাবাদের কালচার এখানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলা সত্ত্বেও এত আর্মস আসছে কীভাবে! এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়। আমাদের কাউন্সিলরের যদি প্রাণ যেত, তাঁর পরিবারের ক্ষতি হত, আমাদের দলের ক্ষতি হত। তাই পুলিশকে বলব অ্যাক্ট নাও। ইন্টেলিজেন্স কোথায়, নেটওয়ার্ক কোথায়? বলছে মুঙ্গের থেকে নাকি আর্মস আসছে। তাহলে সেটা আটকানো যাচ্ছে না কেন?’

    ভিনরাজ্য থেকে আসা দুষ্কৃতীদের নিয়ে এদিন কড়া ভাষায় পুলিশকে সতর্ক করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রেই ক্রিমিনাল বাইরের। মুখ্যমন্ত্রী বারবার সতর্ক করেছেন, বাইরের রাজ্য থেকে যেন দুষ্কৃতীরা না ঢুকতে পারে। সীমানাগুলোয় নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে ঢুকছে তারা? পুলিশকে বলছি, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করো। যদি জল জমে তাহলে তো আমাকে ব্যবস্থা করতে হবে। তেমনই বাইরে থেকে আর্মস এলে সেটা আটকানো তো পুলিশের দায়িত্ব। জল জমলে তো সেটা লোকে পুলিশকে গিয়ে লোকে বলবে না। তেমনই আর্মস এলে সেটা তো আটকানো পুলিশের কাজ।’ তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘আমি সুশান্তর স্ত্রীর সঙ্গে আছি। ওঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করবো।’

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবা তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের বাড়ির সামনেই ঘটে এই হামলা। ওই সময় তিনি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আচমকা বাইক চেপে দুষ্কৃতীরা তাঁর বুকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি চালানোর চেষ্টা করে। প্রথমবার গুলি বেরোয় না, এরপর তারা পুনরায় গুলি ছোড়ার চেষ্টা করে। তবে ধাক্কাধাক্কির মধ্যে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বাড়ির দরজায় লাগে। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান সুশান্ত। হামলার এই ঘটনা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)