দুর্গাপুজোর পর একাদশী তিথিতে ভান্ডানিপুজো হলেও এখানে রাসপূর্ণিমা তিথিতে ভান্ডানিপুজো হয়। পুজোয় এলাকার মহিলারা সামিল হন। এখানে দেবী ভান্ডানির বাহন হল সিংহ। মা ভান্ডানি ছাড়াও কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী ও মহাকালের পুজো হয়।
প্রতি বছর পুরোনো প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে মন্দিরে নতুন প্রতিমা স্থাপিত হয়। ১৯৬২ সাল থেকে এখানে রাসপূর্ণিমায় দেবী ভান্ডানি পূজিত হয়ে আসছেন। পুজো কমিটির উপদেষ্টা ভগীরথ রায়, হরিকিশোর রায়রা জানান, পুজোকে কেন্দ্র করে পালা গানের আসর ও বড় মেলা বসে। এই পুজোয় জাতিধর্মনির্বিশেষে অনেক মানুষের সমাগম হয়। এদিন পুজো দিতে সকাল থেকে মন্দিরে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে। পুজো চলবে তিন দিন।
বাংলায় রাসপূর্ণিমার আলাদা আয়োজন ও উদযাপন। পূর্ণিমায় সত্যনারায়ণ পুজো তো হয়ই। এ ছাড়াও দিনটি গুরুনানক জয়ন্তী হিসেবে যেমন পালিত হয়, তেমনই এদিন জৈন ধর্মগুরু তীর্থঙ্করের স্মরণে বের হয় এক শোভাযাত্রা।