টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার অর্জুনকে ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। অর্জুনের ঘনিষ্ঠেরা বলছেন, ‘‘তার পর থেকে দাদা দুশ্চিন্তায়।’’ অর্জুন অভিযোগ করেন, সিআইডি তদন্তের নামে ডেকে রাসায়নিক ‘স্প্রে’ করে দেয়। তাতে দু’-তিন মাস পর মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়ে কেউ মারা যেতে পারেন। তাঁর সঙ্গেও এমনটা হয়ে থাকতে পারে। বিজেপি নেতার দাবি, তাঁর সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও নানা ষড়যন্ত্র করছে রাজ্যের শাসকদল। তবে তাঁরা এর শেষ দেখে ছাড়বেন।
অর্জুন আদালতে গিয়ে রাজ্য সরকারের মুখোশ খুলে দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। অর্জুন এ-ও বলেন, ‘‘৬ মাসের মধ্যে মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়ে আমার মৃত্যু হলে সরকার দায়ী। রাশিয়া থেকে রাসায়নিক এনে খুনের চক্রান্ত চলছে। আমি যে চেয়ারে বসেছিলাম, তার ছবি তুলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ছবি তুলতে দেয়নি। আদালতকে সেটা জানাব।’’ আর শনিবার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে অর্জুন জানান, তাঁকে বেশি ছোটাছুটি করতে হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক জায়গায় সমস্ত শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন। দু’দিনের মধ্যে তাঁর শরীরে কোনও প্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না, দূষিত কিছু প্রবেশ করানো হয়েছে কি না, জানতে বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়েছেন। হৃদ্যন্ত্র, কিডনি এবং লিভারের পরীক্ষা করিয়েছেন। অর্জুন বলেন, ‘‘রাশিয়ান কেমিক্যাল ঢুকিয়ে দিয়েছে কি না, দেখা হচ্ছে। আগাম সতর্কতা হিসাবে পরীক্ষাগুলো করালাম। আগামী এক-দু’দিনের মধ্যে ডাক্তারি রিপোর্ট হাতে পাব।’’ তবে অর্জুন-ঘনিষ্ঠেরা বলছেন, ‘‘এমনিতে দাদার শরীর ঠিক আছে। চিন্তার কিছু নেই।’’