পুলিশ জানা গিয়েছে, বারাসতের বাসিন্দা মৈনাক মাইতি শুক্রবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিষ্ণুপুরে বেড়াতে এসেছেন। কলকাতার একটি ভ্রমণ সংস্থার থেকে তাঁরা গাড়ি ভাড়া করেন। রাতে ছিলেন বিষ্ণুপুরের বেসরকারি ওই হোটেলে। মৈনাক বলেন, ‘‘শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ গাড়ি থেকে আমাদের হোটেলে নামিয়ে দেন চালক অশোক রাজবংশী। রাতে কোথায় থাকবেন, জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, নিজের মতো ব্যবস্থা করে নেবেন।’’ শনিবার সকালে ওই পরিবারের শুশুনিয়া এবং মুকুটমণিপুরে বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল। সেই মতো হোটেলে চেক আউট করে লাগেজ নিয়ে পার্কিংয়ে যান মৈনাকরা। তাঁর কথায়, ‘‘দেখি গাড়ির পিছনের আসনে চালক শুয়ে রয়েছেন। ডাকাডাকি করে, একাধিক বার ফোন করার পরেও তিনি ওঠেননি। এর পর হোটেলের কর্মীদের খবর দিয়েছিলাম। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন।’’ পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। মৃতের পরিবারকেও খবর দেওয়া হয়েছে।
হোটেলের ম্যানেজার কুমারদীপ পাল বলেন, ‘‘শুক্রবারই ওই পরিবারটি হোটেলে এসেছিল। শনিবার সকালে তাঁরা হোটেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা নজরে আসে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। পার্কিং এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’
বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘‘আমরা হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেছি। সেই ফুটেজে ওই ব্যক্তিকে গাড়ির জানালা খুলে বমি করতে দেখা গিয়েছে। দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটির পাশে বমি পড়েও রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে আমাদের ধারণা, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।