পুলিশে জানানো অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের মহিষকুচি এলাকায় তৃণমূলের ব্লক সভানেত্রী চৈতি বর্মণ বড়ুয়ার ছেলে নীহাররঞ্জন বড়ুয়ার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গুলি চলে। নীহাররঞ্জন নিজেও তৃণমূল নেতা। সেই সময় নীহাররঞ্জন ওই প্রতিষ্ঠানে ছিলেন না। ছিলেন তাঁর ভাগ্নে প্রদীপ। ঘটনার পরেই বিজেপির বিরুদ্ধে দরজা ভেঙে ঘরের ঢুকে গুলি চালানোর অভিযোগ তোলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বলা হয়, গুলি চালানোর ঘটনায় কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন প্রদীপ। কিন্তু তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, আততায়ী নয়, বরং নিজের উপর হামলার ছক কষেছিলেন প্রদীপই!
কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য শনিবার তুফানগঞ্জে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘প্রদীপের সঙ্গে দু’জনের শত্রুতা ছিল। তাঁদের ফাঁসানোর জন্য নিজেই গুলি চালিয়েছিলেন তিনি। প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে, জয়ন্ত ডাকুয়া নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি জোগাড় করেছিলেন তিনি। এর পর নিজেই এই ঘটনা ঘটান প্রদীপ। আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, জেরার মুখে তা-ও স্বীকার করে নিয়েছেন ধৃত।’’
শনিবার পুলিশের বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে বিজেপি। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, ‘‘আমরা শুরু থেকেই বলেছিলাম নদী থেকে বালি তোলা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। নীহাররঞ্জনের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। নিজেদের দোষ ঢাকতে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছিল। আজ পুলিশ প্রমাণ করে দিয়েছে যে তাদের নিজেদের গন্ডগোলেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি বোমা-বন্দুকের রাজনীতি করে না।’’
এ প্রসঙ্গে নীহাররঞ্জন বলেন, ‘‘আমার ভাগ্নে আমাকে যা বলেছিল, আমি পুলিশকে তা-ই বলেছি।’’