এ কথা শোনা মাত্রই বাগড়ি মার্কেট এলাকায় থাকা হকারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। জানিয়েছেন, এ বিষয়ে শীঘ্রই কলকাতা পুরসভা একটি নির্দেশিকা জারি করবে। যেখানে জানিয়ে দেওয়া হবে, কোনও হকার তাঁর ডালা-সহ ব্যবসায়িক সরঞ্জাম রাতে কোনও ফুটপাথে রেখে যেতে পারবেন না। বেচাকেনা করার পর তাঁদের সেই সব জিনিস নিয়ে চলে যেতে হবে। পরদিন আবারও ডালা রেখে ব্যবসা করতে পারবেন তাঁরা। কোনও কারণে এই নির্দেশ না মানা হলে পুরসভা হকারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে বলেই জানাচ্ছেন এক আধিকারিক।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের পরেই কলকাতা জুড়ে হকার নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য সরকারের পদক্ষেপে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা শহর ও শহরতলি এলাকার হকারদের জন্য সুস্পষ্ট নীতি তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো কলকাতা পুরসভা হকারদের নিয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করে পুরসভার কাছে জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী পুজোর পর পদক্ষেপ করার কথা জানানো হয়েছিল। এ বার হকারদের ডালা নিয়ে সরাসরি অভিযোগ জমা পড়ায় এ বিষয়ে স্পষ্ট নীতি তৈরি হওয়ার কাজ গতি পেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘শহরে কোনও নীতি তৈরি হলে তা গোটা শহরের জন্যই প্রযোজ্য হয়। তাই বাগড়ি মার্কেট এলাকার জন্য হকারদের নীতি তৈরি হলে, তা গোটা শহরের হকারদের জন্যই কার্যকর হবে বলেই আমরা মনে করছি।’’