বর্তমানে শতাধিক পুজো হয় সাহাগঞ্জ বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে। তবে কেন্দ্রীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণে পুজো হয় ৭১টি। শোভাযাত্রায় অংশ নেয় ৪৫ টি পুজো। চন্দননগরে আলো, মেদিনীপুরে থিমের মণ্ডপ সব মিলিয়ে বাঁশবেড়িয়ার চারদিনের উৎসব জমজমাট।
বাঁশবেড়িয়া পুরোসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী জানান, প্রচুর মানুষের ভিড় হয় শহরে এই চারদিন। নিরাপত্তার জন্য ৭৬টি স্থায়ী সিসি ক্যামেরা সঙ্গে অস্থায়ী ২৫টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুজো কমিটিগুলি আলাদা করে সিসি ক্যামেরা বসায়। পুরসভার পক্ষ থেকে পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যশিবির করা হয়। পুলিস সহায়তাকেন্দ্র থাকে। হুগলি গ্রামীণের মগরা থানা চন্দননগর কমিশনারেটের চুঁচুড়া থানার পুলিস মোতায়েন থাকে।
সাহাগঞ্জের রাজা কার্তিক পুজোর উপদেষ্টা জগবন্ধ সাহা বলেন, আমাদের পুজো একটা পরম্পরা, পর্তুগিজদের সময় থেকে কার্তিক পুজোর সূচনা হয়েছিল। সন্তানকামনায় কার্তিক পুজোর প্রচলন হয় বলে বিশ্বাস। প্রাচীন পুজো নিয়মনিষ্ঠা মেনে আজও হয়ে আসছে। বাঁশবেড়িয়ার বাসিন্দা বৃদ্ধ গিরিধারী মিত্র বলেন, বাঁশবেড়িয়া কার্তিক পুজো বিখ্যাত। এখানে ৩৩ কোটি দেবতা দেখা যায়। কার্তিক পুজো হলেও রাসের মতো পুজো নানা দেবতার। সারারাত ধরে মানুষ ঠাকুর দেখেন। আগের থেকে জৌলুস অনেক বেড়েছে।