শনিবার সকালে ১৪৫ কালিন্দী হাউজিং এস্টেটে ভি কে সিং নামে এক ব্যক্তির ফ্ল্যাটে এসে পৌঁছান আধিকারিকের। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন রাম সিং। তারপরেই তাকে এদিন সকালে আটক করে নিয়ে যায় পুলিস আধিকারিকেরা। হামলার কথা সুশান্তর পরিচিতরা কি জানত? এই প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে।
সূত্রের খবর কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের উপরে হামলার পেছনে রয়েছে জমি সংক্রান্ত বিবাদ। এমনটাই স্বীকার করেছে আফরোজ ওরফে গুলজার। গলসি থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হচ্ছে। পুলিস জানতে চাইছে গুলি চালনার ঘটনায় গুলজারই মাস্টারমাইন্ড কিনা বা এর পেছনে অন্য কেউ রয়েছে কিনা। বেশকিছু মিসিং লিঙ্ক রয়েছে যা বোঝা যাবে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর।
এদিকে জানা গিয়েছে, কসবায় গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র দুটি ছিল ধৃত ছেলেটির কাছে। গুলির চেষ্টার পর মিস হওয়ায় ছেলেটি কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র গুঁজে বাইকে উঠতে যায়। এরপর সুশান্ত ঘনিষ্ঠ যে-যুবক ওকে ধরতে যান, তিনি পিছন থেকে ওই ছেলেটির কোমরে ঘুঁষি মারেন। একটি আর্মস পড়ে যায় কোমর থেকে। সেটি উদ্ধার হয় সঙ্গে সঙ্গে। এরপর ছেলেটি পালাতে থাকে। দৌড়তে-দৌড়তেই খালপাড়ের দিকে জঙ্গলের মধ্যে কোমরে আগে থেকে রাখা অন্য একটি আর্মস সে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। টাকার প্রসঙ্গে ধৃতের দাবি, প্রথমে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু শেষে ২৫০০ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু কোনও টাকা-ই সে পায়নি বলে দাবি তার। সেই সত্যতাও যাচাই করছে পুলিস।