সংবাদদাতা, ঘাটাল: আর মেঝেতে নয়, এবার চেয়ারে বসে ‘রাজকীয়’ পড়াশোনা। তাই খুশি অঙ্গনওয়াড়ির খুদে পড়ুয়ারা। দাসপুর-২ ব্লকের দুবরাজপুর ৭ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খুদে পড়ুয়ারা চেয়ার পেয়ে এখন পড়াশোনায় যেন একটু ‘রাজকীয়’ অনুভূতি পাচ্ছে। রঙিন চেয়ারে বসে পড়ার সুযোগ পেয়ে আনন্দে আত্মহারা শিশুদের কেউ কেউ বলছে, ‘আমরা এখন বড়দের মতো বসি!’
চেয়ার পাওয়ার গল্পটা কিন্তু বেশ মজার। শিশু দিবসের উপহার হিসেবে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই রঙিন চেয়ারের ব্যবস্থা করেছে। সেন্টারের কর্মী বাসন্তী গোস্বামী বলেন, ‘একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আমাদের সেন্টারের সমস্ত শিশুদের জন্য একটি করে রঙিন চেয়ার দিয়েছে। শুধু পড়ুয়াদের জন্য নয়, বড়দের বসার জন্যও চারটি চেয়ার এবং একটি শতরঞ্জি দিয়েছে তারা। এতে আমরাও খুশি।’ শিশুরা ক্লাসে চেয়ারে বসে এমন ভাব করছে যেন তাদের কেউ প্রিন্স, কেউ প্রিন্সেস! কারণ, তাদের দাদা-দিদিদের স্কুলে গিয়ে এখনও বেঞ্চে বসে ক্লাস করতে হয় এবং দিদিমণিরা বসেন চেয়ারে। সেখানে তারা এখন থেকেই চেয়ারে বসে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই খুদে পড়ুয়াদের মধ্যে এক ধরনের গর্ব আর উত্তেজনা স্পষ্ট।
শনিবার এক পড়ুয়া বলেই ফেলল, ‘এখন আমরা চেয়ার রেস খেলব!’ এই ঘটনায় অভিভাবকরাও খুশি। উপভোক্তা সৌমিতা রানা বলেন, ‘রঙিন চেয়ার পেয়ে শিশুরা এখন ক্লাসে যেতে আরও উৎসাহ পাচ্ছে। আর আমরাও আনন্দিত যে ওদের জন্য ভালো ব্যবস্থা হচ্ছে।’ ঘাটাল মহকুমার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এক সুপারভাইজার শিখা পোড়ে বসু জানান, সরকারিভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চেয়ার দেওয়া হয় না। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এক একটি ব্লকে দু’-একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে নির্বাচন করে এবার চেয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে চেয়ার দেওয়ার আগে তারা সংশ্লিষ্ট সিডিপিও’র অনুমতি নেয়।