বিষ্ণুপুরে হোটেলের পার্কিংয়ে থাকা গাড়ির ভিতর চালকের দেহ উদ্ধার
বর্তমান | ১৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: শনিবার সকালে বিষ্ণুপুরের হোটেলে পর্যটকদের নিয়ে আসা কলকাতার এক গাড়িচালকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। শনিবার সকালে শহরের কলেজ রোডে একটি নামী হোটেলের পার্কিংজোনে থাকা গাড়ির ভিতর চালকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম অশোক রাজবংশী(৫২)। বাড়ি কলকাতার নিউটাউন থানা এলাকায়। তিনি স্থানীয় একটি ট্রাভেল এজেন্সির গাড়ি চালাতেন। ওই গাড়িতে করেই বারাসতের বাসিন্দা মৈনাক মাইতি সপরিবারে বিষ্ণুপুর বেড়াতে এসেছিলেন। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ শুশুনিয়া ও মুকুটমণিপুর যাওয়ার জন্য তাঁরা প্রস্তুত হয়েছিলেন। সেসময় গাড়ির মধ্যে চালকের দেহ উদ্ধার হয়। তাতে মৈনাকবাবু সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিপাকে পড়ে যান। খবর পেয়ে পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিস জানিয়েছে, হোটেলের পার্কিং জোনে গাড়ির ভিতর থেকে ওই চালকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মৈনাকবাবু বলেন, আমরা স্থানীয় একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে গাড়ি বুক করেছিলাম। শিশু সহ পরিবারের মোট ছ’জন বেড়াতে এসেছি। শুক্রবার বিষ্ণুপুর ঘোরা হয়। শনিবার শুশুনিয়া এবং মুকুটমণিপুর যাওয়ার কথা ছিল। সকাল ৯টা নাগাদ একাধিকবার ফোন করা হলেও গাড়ির চালক ধরেননি। লাগেজ নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে সোজা গাড়ির কাছে এসে দরজা খুলতেই পিছনের সিটে অস্বাভাবিকভাবে শুয়ে থাকতে দেখি। ডাকাডাকি করলেও সাড়া পাইনি। হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিসকে খবর দেয়। হোটেলের ম্যানেজার অভীক ভট্টাচার্য বলেন, হোটেলে গাড়ির চালকদের জন্য সুলভ মূল্যের রুম রয়েছে। এক্ষেত্রে পর্যটক বা চালক কেউই তা বুক করেননি। পার্কিং জোনে থাকা গাড়ি থেকেই চালকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মৈনাকবাবু বলেন, শুক্রবার রাতে চালকের থাকার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু তিনি নিজের থাকার ব্যবস্থা করে নেবেন বলেছিলেন। সেইমতো আমরা খাওয়াদাওয়া করে রুমে চলে যাই।
এদিন হোটেলে গাড়ির ভিতর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। হোটেল কর্তৃপক্ষ গেট বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিস এসে গাড়ি থেকে মৃতদেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তে পাঠায়।