• কৃষ্ণনগরে হাউস ফর অল প্রকল্পে এখনও বকেয়া ১০ কোটি টাকা
    বর্তমান | ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: কৃষ্ণনগর পুরসভায় হাউস ফর অল প্রকল্পে এখনও কেন্দ্রের কাছে প্রায় ১০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। তিন বছরে পর্যাপ্ত টাকা পাঠায়নি দিল্লি। ফলে শহরে এক হাজার বাড়ি অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।


    সম্প্রতি কেন্দ্র দু’দফায় চার কোটি টাকা পাঠালে কিছুদিনের জন্য কাজে গতি এসেছিল। কিন্তু তারপর আর টাকা না মেলায় বাড়ি তৈরির কাজ বন্ধ আছে। তিন বছরেও বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ করতে না পেরে উপভোক্তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।


    কৃষ্ণনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন রীতা দাস বলেন, টাকা আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা উপভোক্তাকে তা পাঠিয়ে দিচ্ছি। যাতে তাঁরা তাড়াতাড়ি বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করতে পারেন। কিন্তু কেন্দ্র টাকা পাঠানো নিয়ে অনেকসময় গড়িমসি করছে। এর জেরে প্রকল্পের কাজের গতি শ্লথ হচ্ছে।


    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘরের টাকা পাঠায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। যা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার সরব হয়েছেন। একাধিকবার সমীক্ষার পরও উপভোক্তাদের যোগ্যতা নিয়ে দিল্লির প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট হয়নি। আবাসের ঘর পাওয়ার আশায় বাংলার লক্ষ লক্ষ উপভোক্তাকে বছরের পর বছর টিনের ভাঙা ঘরে থাকতে হয়েছে। সম্প্রতি লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, কেন্দ্রের এই বঞ্চনার জবাব দিয়েছেন বাংলার মানুষ। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে বহু মানুষ আবাসের টাকা পেতে চলেছেন।


    কিন্তু এখন শহর এলাকায় হাউস ফর অল প্রকল্প নিয়েও কেন্দ্রের গড়িমসি শুরু হয়েছে। কৃষ্ণনগর পুরসভা সূত্রে খবর, এই প্রকল্পে তাদের প্রাপ্য ৩৭ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পে ১০৭৯জন উপভোক্তার বাড়ি তৈরির টাকা পাওয়ার কথা। তিনবছর ধরে ১০২৪টি বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। এখনও অবধি আট দফায় টাকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পুরো টাকা এখনও দেওয়া হয়নি।


    কৃষ্ণনগর পুরসভাকে প্রথম দফায় ৩৬ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। দ্বিতীয় দফায় ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পায় এই পুরসভা। তৃতীয় দফায় আসে ৫ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা। চতুর্থ দফায় ১ কোটি ৭৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পঞ্চম দফায় আরও ৩ কোটি টাকা আসে। মে মাসে আরও ৯ কোটি টাকা পাওয়া যায়। সম্প্রতি দু’দফায় আরও চার কোটি টাকা মিলেছে। সবমিলিয়ে, পুরসভা ২৭ কোটির কিছু বেশি টাকা পেয়েছে। এখনও প্রায় ১০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)