নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: অমৃত ভারত প্রকল্পে জলপাইগুড়ি স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। কিন্তু এই কাজে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে স্টেশন বাজার। রেলের জমিতে ওই বাজারে ছ’শোর বেশি ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাঁদের সরে যেতে হবে। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা করে না দেওয়া পর্যন্ত ওই বাজার ছাড়তে নারাজ ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, ব্যবসায়ীরা না সরায় রেলের স্টেশন আধুনিকীকরণের কাজের গতিও থমকে গিয়েছে বলে অভিযোগ। সবমিলিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। শনিবার অবশ্য স্টেশন বাজার ব্যবসায়ীদের জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় জানিয়ে দিয়েছেন, রেলের কাজে কোনওভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না। স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজের জন্য রেলের যতটা জায়গা লাগবে, তা ছেড়েই বাজার বসাতে হবে। যদিও ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, রেলকে কাজ করতে দেওয়া হোক। ব্যবসায়ীদেরও যাতে একটা বসার জায়গা হয়, তার চেষ্টা করব।
সাংসদের কাছ থেকে এই বার্তা পাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ি স্টেশন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক যোগীন্দর দাস বলেন, আমাদের বাজারে ৬১১ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন। আমরা রেলের উন্নয়নে বাধা দিতে চাই না। কিন্তু আমাদের বিষয়টিও ভাবতে হবে রেলকে। সাংসদ বলেছেন রেল কাজের জন্য যে পর্যন্ত জায়গা চিহ্নিত করে দিয়েছে, তার বাইরে গিয়ে বাজার বসাতে। সংগঠনে আলোচনা করে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
এদিন সাংসদের কাছে নিজেদের দাবি নিয়ে দরবার করতে আসা ব্যবসায়ীদের তরফে বাদল সরকার, অজয় বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্টেশন বাজারে আমাদের দোকান রয়েছে। আমাদের দাবি, ব্যবসায়ীদের নামে রেল জমি লিজ দিক। ওই দাবির পক্ষে রেলের কাছে সুপারিশের জন্য সাংসদকে আর্জি জানিয়েছি আমরা। তিনি আমাদের লিখিত আবেদন জানাতে বলেছেন।
বিষয়টি নিয়ে সাংসদ বলেন, স্টেশন বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আগেও অনেকবার কথা হয়েছে। এদিনও তাঁরা এসেছিলেন। তাঁদের বলা হয়েছে, রেলের কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের প্রশ্নে সাংসদের বক্তব্য, রেল তো এভাবে পুনর্বাসন দিতে পারে না। তবুও আমি রেলের সঙ্গে কথা বলছি বিষয়টি নিয়ে। স্টেশন চত্বরে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স হবে। সেখানেও কিছু দোকান হবে।
(ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছেন সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায়। - নিজস্ব চিত্র।)