• পুরনো শত্রুতার জেরেই চিত্রনাট্য সাজিয়ে গুলি চালানোর অভিযোগ, দাবি পুলিসের
    বর্তমান | ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, তুফানগঞ্জ: পুরোটাই সাজানো চিত্রনাট্য। তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার মিলে ঢুকে গুলি চালানোর ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই জানাল পুলিস। শনিবার তুফানগঞ্জ মহকুমা পুলিস আধিকারিকের দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক  হয়। সেখানেই এই সত্য উদঘাটন করে দেন পুলিস কর্তারা। উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, মহকুমা পুলিস আধিকারিক বৈভব বাঙ্গার সহ অন্য আধিকারিকরা। 


    সাংবাদিক বৈঠকে পুলিস সুপার বলেন, এই ঘটনায় জড়িত ক্র্যাশার মিলের নিরাপত্তা রক্ষী প্রদীপ গোপ এবং আগ্নেয়াস্ত্র সরবরাহকারী জয়ন্ত ডাকুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, গুলিকাণ্ডে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তাদের সঙ্গে মিলের নিরাপত্তা রক্ষী প্রদীপ গোপের পুরোনো শত্রুতা রয়েছে। সেই রোষে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছিল সে।


    বুধবার রাতে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের মহিষকুচি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকোয়ামারিতে তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যান নীহার বড়ুয়ার ক্রাশার মিলে ঢুকে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। নীহার সপ্তাহের বেশিরভাগ সময় মিলে রাতে থাকতেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে সেই রাতে তিনি সেখানে ছিলেন না। সে সময় ওই ঘরে তাঁর ভাগ্নে তথা নিরাপত্তা রক্ষী ঘুমিয়েছিলেন। তৃণমূল নেতা ভেবে তাঁর উপরেই গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। এরপরই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিস। 


    ক্র্যাশার মিলের মালিক তথা তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যান নীহার বড়ুয়া বলেন, সেই রাতে আমি ক্র্যাশার মিলে ছিলাম না। নিরাপত্তারক্ষী আমাকে যা জানিয়েছিলেন, সেটাই আমি পুলিসকে বলেছি। আর এই ঘটনা নিয়ে সুর চড়িয়েছে পদ্মশিবির। বিজেপি জেলা সহ সভাপতি উৎপল দাস বলেন, আমাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে এ ধরনের নাটক সাজাতে হয়েছে তৃণমূলকে। আমরা সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এই ব্যাপারে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, বিজেপি অভিযোগ করতেই পারে। পুলিস তদন্ত করুক।
  • Link to this news (বর্তমান)