• ময়নাতদন্তে লেখা নেই মৃত্যুর কারণ! জাস্টিস চান ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা-মা
    বর্তমান | ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • বলরাম দত্তবণিক, রামপুরহাট: চার বছর আগে রামপুরহাট মেডিক্যালে ডাক্তারি পড়ুয়া মধুমিতা ঘোষের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধছে। হস্টেলের ঘর থেকে মধুমিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্বাভাবিক নিয়মে ময়নাতদন্তও হয়। ছাত্রীর পরিবারের তরফে চার সহপাঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে। 


    ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মধুমিতার মৃত্যু কী কারণে, তার উল্লেখ নেই! ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক থেকে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল পুলিস। সেই পরীক্ষার রিপোর্টও এখনও মেলেনি বলে সূত্রের দাবি। ফলে, দেশজুড়ে আর জি কর কাণ্ডে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে আওয়াজ উঠলেও আজও বিচার পেলেন না মধুমিতার অসহায় বাবা-মা। উল্টে তাঁদের অভিযোগপত্রে যে চার পড়ুয়ার নাম ছিল তাঁরা এখন বহাল তবিয়তেই। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার আরজি কাণ্ডে আন্দোলনের অন্যতম মুখ। রাত দখল থেকে শুরু করে নানা প্রতিবাদী কর্মসূচিতে তারা গলা ফাটাচ্ছেন। স্বভাবতই মধুমিতার বিচার চেয়ে নতুন করে সরব হয়েছেন তাঁর বাবা-মা। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ করবী বড়ালও চান, মধুমিতা বিচার পাক। 


    শনিবার করবীদেবী বলেছেন, ‘যাঁরা তদন্ত কমিটিতে ছিলেন, তাঁদের বিষয়টি আরও দৃঢ়তার সঙ্গে দেখা উচিত ছিল। রিপোর্ট ই-ফাইলের আকারে স্বাস্থ্যভবন, মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ এবং কপি তাঁর বাবা-মাকে দেওয়া উচিত ছিল। যাতে তাঁরা অন্তত মেয়ের মৃত্যুর কারণ জানতে পারেন। কিন্তু আজও সেই রিপোর্ট মেলেনি। ফলে যেমন আমরা অভয়ার বিচার চাইছি, ওই ছাত্রীরও বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’ 


    ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি। রামপুরহাটে মেডিক্যালের চকমণ্ডলা হস্টেলের ঘর থেকে প্রথম বর্ষের ছাত্রী মধুমিতা ঘোষের (২০) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ায়। বাবা বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ চার সহপাঠীর নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য পুলিসের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সেই বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)