• এনসিবির হাতে ধৃত কুখ্যাত আন্তর্জাতিক ড্রাগ পাচারকারী
    বর্তমান | ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রুদ্ধশ্বাস অপারেশনের পর কুখ্যাত ড্রাগ ও সোনা পাচারকারী গৌতম মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। এর আগে বাংলাদেশে পাচারের সময় ১৪ হাজার ৯৯৮ বোতল ফেনসিডিল বাজেয়াপ্ত করেছিল এনসিবি। সেই সূত্রেই গৌতমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। এনসিবির গোয়েন্দাদের বক্তব্য, অন্যতম কঠিন একটি অপারেশনের পরে এই কুখ্যাত পাচারকারীকে ধরা গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) ৩টি মামলা রয়েছে। বিপুল পরিমাণ সোনা পাচারের অভিযোগেই এই মামলাগুলো হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রায় ১৫ হাজার বোতল ফেনসিডিল পাচারের জন্য উত্তর প্রদেশ থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেই সময় তা বাজেয়াপ্ত করেছিল এনসিবি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, গৌতম প্রায়ই পাচারের কৌশল বদল করত। এমনকী, এই কাজের জন্য বেশ কয়েকজনকে সে প্রশিক্ষণও দিয়েছিল। বারবার গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কনসাইনমেন্টে লোক বদলে ফেলত। তাই গৌতমের নাগাল পেতে কালঘাম ছুটেছিল কেন্দ্র ও রাজ্যের গোয়েন্দাদের। শেষ পর্যন্ত গত বুধবার গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়ে গৌতম।


    গোয়েন্দারা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক ড্রাগ পাচারের ক্ষেত্রে গৌতমের গ্রেপ্তার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, একেবারে মাথায় বসে এই ব্যক্তিই গোটা পাচারের সাম্রাজ্য চালাত। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদন্ত করে গৌতমের বাকি শাগরেদদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। শুধু একা এনসিবি নয়, গৌতমকে ডিআরআই, পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফ যৌথভাবে জেরা করবে। উদ্দেশ্য একটাই, গৌতমের তৈরি করা ড্রাগ পাচারের সাম্রাজ্যকে ধ্বংস করা। ইতিমধ্যেই ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনসিবি। তবে ঠিক কীভাবে, কোথা থেকে এই কুখ্যাত ড্রাগ পাচারকারীকে ধরতে পারল এনসিবি, সেই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কোনওভাবেই সেসব বলা যাবে না।   
  • Link to this news (বর্তমান)