দুর্ঘটনার কবলে তৃণমূল বিধায়কের নেমপ্লেট লাগানো গাড়ি, মৃত দুই
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৭ নভেম্বর ২০২৪
হাওড়ায় দুর্ঘটনার কবলে তৃণমূল বিধায়কের নেমপ্লেট লাগানো গাড়ি। শনিবার রাত ১টা নাগাদ শিবপুরের ফোরশোর রোডে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার নেমপ্লেট লাগানো গাড়ি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেলারে ধাক্কা মারে। এই দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তিনজন। বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তাঁরা। কী কারণে দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে গাড়িতে মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার নেমপ্লেট লাগানো থাকলেও বিধায়ক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গাড়িট তাঁর নয়। তাঁর পরিবারের সকলে সুস্থ রয়েছে বলেও জানান গিয়াসুদ্দিন। ওয়াটগঞ্জের বাসিন্দা মোস্তাক খান গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। শিবপুরের ফোরশোর রোডে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেলারের পিছন দিকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। দ্রুত গতিতে থাকায় গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
তীব্র আওয়াজে ছুটে আসেন স্থানীয় লোকজন। শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। দুর্ঘটনার জেরে গাড়ির সামনের দিকের অংশ ট্রেলারের পিছনে আটকে যায়। গাড়িতে থাকা যাত্রীরা আটকে পড়েন। খবর যায় শিবপুর থানার পুলিশের কাছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তুবড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে। গাড়িচালকের পরিবারের সদস্যরাই ওই গাড়িতে ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা গাড়িচালক মোস্তাক এবং আরেকজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে। পরে সেখান থেকে তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় বলে জানা গিয়েছে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। একই সঙ্গে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে বিধায়ক তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও একটি সূত্রের দাবি, গিয়াসুদ্দিনেরই গাড়ির চালক ২৫ বছর বয়সী মোস্তাক খান। বিধায়কের গাড়িতে আত্মীয়দের নিয়ে বাঁকড়ায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই কলকাতায় ফিরছিলেন তিনি। সেই সময়ই ট্রেলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি। যদিও এই দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মোস্তাকের বাবা মহম্মদ মুখতার বলেন, আমার ছেলে মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার গাড়ি চালাত। আমার বাঁকড়ার বাড়িতে পুজো ছিল। ছেলে কয়েকজনকে নিয়ে এসেছিল। ফেরার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। ছেলে এবং এক আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে। এদিকে মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লা বলেন, আমার স্করপিও গাড়ি রয়েছে। সেটিই আমি ব্যবহার করি। সেই গাড়িতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। আমরা সকলে সুস্থ রয়েছি। অন্য কোনও দুর্ঘটনার কথা শুনিনি।