লালবাজারের এক তদন্তকারী অফিসার জানান, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার একটি গ্রামে এক অভিযুক্ত চল্লিশ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কমিশনের ভিত্তিতে ভাড়া নিয়েছিল। অভিযোগ, টাকা ঢোকার পরে, কমিশনের টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকা হস্তগত করেছিল সে। পুলিশের দাবি, উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা ওই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাকেও ধরার চেষ্টা চলছে। শনিবার রাতে ট্যাব-কাণ্ডে কোচবিহারের দিনহাটা থেকে আরও এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত মনোজিত বর্মণ দিনহাটার বাসিন্দা।
এর মধ্যে ধৃত মালদহের সেরাজুল দিনমজুর। অক্টোবরের মাঝামাঝি গাজলের একটি স্কুলের এক ছাত্রের ট্যাবের টাকা তার অ্যাকাউন্টে ঢোকে। টাকার বিনিময়ে সে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিল বলে সেরাজুল জেরায় তাদের জানিয়েছে, দাবি পুলিশ-কর্তাদের। সূত্রের খবর, প্রায় দু’বছর আগে একই কায়দায় কলকাতার মানিকতলার একটি স্কুলের সাত ছাত্রের টাকা হাতানোর অভিযোগে চোপড়া থেকেই দু’জনকে ধরেছিল কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানা।
লালবাজার জানিয়েছে, এ বার প্রতারিত পড়ুয়ার সংখ্যা ১৯১১ জন। রাজ্য জুড়ে প্রতারণার মামলা হয়েছে ১২০টি। ধরা হয়েছে ১৩ জনকে। চলতি মাসে ট্যাবের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সামনে এলেও দুষ্কৃতীরা ওই জালিয়াতি করেছিল অগস্টের শেষ সপ্তাহে। কার্যত রাত জেগে স্কুলের ‘লগইন আইডি’, ‘পাসওয়ার্ড’ হাতিয়ে ওই টাকা সরায় তারা। বিহার, ঝাড়খণ্ড, পঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, রাজস্থানের পরে, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের নামও জড়িয়েছে ট্যাব-কাণ্ডে। রাজ্যের অন্দরে নতুন করে ট্যাব-জালিয়াতির কথা সামনে এসেছে দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুরে।