প্রাকৃতিক দুর্যোগে ছন্দ হারিয়েছিল পাহাড়। বর্ষায় একাধিক জায়গায় ধস নামার পর বিপর্যস্ত হয়েছিল পাহাড় এবং সমতলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিশেষ করে রংটং এবং কার্শিয়াঙের মধ্যে একাধিক জায়গা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রেলপথের ক্ষতি হয়। মেরামতির কাজে বাদ সাধে অতিবৃষ্টি। ফলে গত জুলাই মাস থেকে বন্ধ ছিল এনজেপি-দার্জিলিং টয় ট্রেন পরিষেবা। গত চার মাস পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকেই টয় ট্রেন যাত্রার আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি।
তবে শীতের আগে যাতে আবার পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায়, সে জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলছিল। অবশেষে রবিবার থেকে চালু হল পরিষেবা। কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘প্রকৃতির কাছে হার মানতে হয় সকলকে। তাই ইচ্ছা থাকলেও টয়ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের অনেকটা সময় বন্ধ ছিল পরিষেবা। আর শীতের মরসুমে পরিষেবা চালু করে দিতে পেরে আমরা খুশি।’’ তিনি জানান, বহু জায়গায় ভূমিধসের কারণে ক্ষতি হয়েছে। বস্তুত, এ বার ক্ষতির পরিমাণও বেশি ছিল। সেগুলো মেরামত করে একাধিক বার পরীক্ষামূলক ভাবে টয় ট্রেন চালানো হয়েছে। রবিবার থেকে পাকাপাকি ভাবে টয় ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।