দিনের আলোয় মুকুন্দপুর বাজারের ডাকাতির চেষ্টা। তবে দোকান মালিকের সাহসিকতার কাছে হার মানল দুই দুষ্কৃতী। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১২টা নাগাদ দুই ব্যক্তি কাস্টমারের বেশে গীতাঞ্জলি জুয়েলার্স নামের এক সোনার দোকানে ঢোকে। সেই সময় দোকানেই ছিলেন মালিক সঞ্জয় কুমার সরকার। দোকানে ঢোকার পরেই হঠাৎ ছুরি বের করে দুই দুষ্কৃতী।
প্রথমেই এক দুষ্কৃতী সঞ্জয়ের গলায় থাকা সোনার চেন ছিনিয়ে নেয়। তারপর দোকানে থাকা সোনার গয়না লুঠের চেষ্টা করে। কিন্তু সাহসী দোকান মালিক পাল্টা বাধা দেন। এগিয়ে গিয়ে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। সেই সময় হঠাতই অপর দুষ্কৃতী ছুরি দিয়ে সঞ্জয়ের গলায় এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে।
গলা দিয়ে গলগল করে রক্তপাত হতে শুরু করে। কিন্তু এর মধ্যেও লড়ে যান দোকান মালিক।জাপটে ধরে রাখেন দুষ্কৃতীকে। এরই মধ্যে আশেপাশের দোকানদার, স্থানীয়রা চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন। তাঁরা এসে দুই দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। গুরুতর আহত সঞ্জয়কে দ্রুত আর এন টেগোর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়রা ধৃতদের পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ঘটনার পর দোকানের সামনে ছড়িয়ে পড়ে রক্তের দাগ, যা দেখে ভয়ে কেঁপে ওঠেন আশেপাশের ক্রেতা ও বাজারের সাধারণ মানুষ। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। পাশেই থাকা একটি লটারির দোকানের সামনে তখন ভিড় ছিল, যার কারণে ঘটনাটি অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছেন।
এক স্থানীয় মহিলা প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, "কোপানোর পরেও দোকান মালিক দুষ্কৃতীকে ছাড়েননি। আমি ওনার গেঞ্জি ও রুমাল দিয়ে গলার ক্ষতস্থান চেপে ধরে বলি, হাসপাতালে নিয়ে যাও।"
সোনার দোকানে লুঠের চেষ্টা ঠেকাতে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন দোকানের মালিক সঞ্জয় কুমার সরকার। এই ঘটনায় মুকুন্দপুর বাজারের নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।