এদিন স্থানীয়রা ধান কাটার সময় খেতের মধ্যে ওই অজগরটিকে দেখতে পান। তাঁরাই অজগরটি উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় বনকর্মীদের। ধুপঝোরা বিট অফিসের বনকর্মী এসে সেটিকে নিয়ে যান। বন দফতরসূত্রে জানা গিয়েছে, অজগরটি সুস্থ থাকায় এদিনই সেটিকে গরুমারার জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকাটির পাশেই রয়েছে গরুমারা জঙ্গল। মাঝেমধ্যেই বন্যপ্রাণী জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসে। দিন দুয়েক আগেও ঘটেছিল একই ঘটনা।
ওই এলাকা-সংলগ্ন বাতাবাড়ি চুপরিপাড়া এলাকার ধানখেত থেকে আর একটি অজগরকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কয়েকদিন আগে মালবাজার মহকুমার চালসার বাতাবাড়ি চুপড়িপাড়া এলাকার ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিশালাকার এক অজগর। স্থানীয়রাই সেই সাপটিকে উদ্ধার করে গ্রামে নিয়ে আসেন। পরে খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। বনকর্মীরা এলে তাঁদের হাতে অজগরটিকে তুলে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এই এলাকায় সাপ হাতি চিতাবাঘের উপদ্রব লেগেই থাকে। এর কদিন আগে রাতে একটি দাঁতাল হাতি তাণ্ডব চালিয়েছিল ডামডিম এলাকায়। পূর্ব ডামডিমের সেনপাড়া এলাকায় রাত ৮ টা নাগাদ তারঘেরা জঙ্গল থেকে চলে এসেছিল হাতিটি। ধানক্ষেতে বেশ কিছুক্ষণ ধান খেয়ে গ্রামের দিকে ঢোকার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা জঙ্গলে ফেরায় হাতিটিকে। হাতির তাণ্ডবে ক্ষতি হয় বেশ কিছু ধানজমির।