প্রদ্যুৎ দাস: আলু ৬০ টাকা কিলো। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে দেখেই ১০ টাকা কমিয়ে দেওয়া হল আলুর দাম। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণেই বাজারের এই হাল বলে অভিযোগ একাংশের। তবে সুফল বাংলা স্টলে সবজির দাম অনেকটাই কম।
আলু অবশ্য ৬০ টাকা করে কিলো নয়। বাজারে জ্যোতি আলু চল্লিশ টাকা কিলো, পেঁয়াজ ৮০ টাকা কিলো। আজ, রবিবারও জলপাইগুড়িতে সবজির বাজারে আগুন। বেশিরভাগ সবজি প্রতি কিলো দর হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা! করলা, সিম ৮০ টাকা কিলো। একেক দোকানে একেক রকম ইচ্ছেমতো সবজির দাম নিচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের একাংশের।
বাজারে ছোট ছোট দোকানদার থেকে বাজারমূল্য নিয়ে রবিবার খোঁজখবর নেওয়া হল। তাতে জানা গেল, বেগুন ফুলকপি আলু পেঁয়াজ ইত্যাদি বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন রকম দাম নিচ্ছেন বিক্রেতারা। অন্তত তেমনই অভিযোগ ক্রেতাদের।
বারংবার প্রশাসন হানা দিচ্ছে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন বাজারগুলোতে। তবে ক্রেতারদের দাবি, তাতেও সেভাবে লাভ হচ্ছে না, দাম একই রকম রয়ে গিয়েছে। সবজির দোকানে এখন রেটবোর্ড লাগানোর অপেক্ষায় তাঁরা। হোলসেল দোকান থেকে খুচরোর বিভিন্ন দোকানে দামের প্রচুর ফারাক রয়েছে। আসলে দামটার ফারাক ঘটছে সেখানেই। আর তাতেই বিষয়টা মূল্যবৃদ্ধির দিকে চলে যাচ্ছে।
জলপাইগুড়ির হোলসেল বাজারে লঙ্কার দাম ৩০ টাকা কিলো, ফুলকপি বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কিলো অথচ লঙ্কা বাইরে ১০০ টাকা কিলো! ফুলকপি বাঁধাকপি ষাট টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে!
তবে, রবিবার জলপাইগুড়ি সুফল বাংলা স্টলে সবজির দাম সাধারণ বাজারের থেকে অনেকটাই কম। দেখে নেওয়া যাক, কত:
প্রতি কিলো আলু ২৫ টাকা, প্রতি কিলো পিঁয়াজ ৫৮ টাকা, কাঁচালঙ্কা ৭০ টাকা, আদা ৭৮ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বেগুন ২৮ টাকা, করলা ৪৫ টাকা, টম্যাটো ৫৩ টাকা, ফুলকপি ৩৮ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, রসুন ২৬৫ টাকা।