স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে পাঠকবাগান এলাকায় একটি মন্দিরে ঢোকেন দুই চোর। অভিযোগ, মন্দির থেকে নানা জিনিস বাগিয়ে নেন দু’জন। বাসনপত্র, ওভেন-সহ একটি গ্যাস সিলিন্ডারও তুলে নিয়ে পালাচ্ছিলেন তাঁরা। কয়েক জনের চোখে পড়ে সেটা। তাঁদের চিৎকারে আরও লোকজন জড়ো হন। সবাই তেড়ে যান দুই চোরকে ধরতে। এক জন চুরির জিনিসপত্র ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু তাঁর অপর সঙ্গী পালাতে পারেননি। বরং এত লোকজন ছুটে আসছেন দেখে মূর্ছা যান তিনি। লোকজন তাঁকে হাতেনাতে ধরার পর দেখেন সত্যিই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তত ক্ষণে রাগ গলে জল সবার। সবাই মিলে চোরের সেবা শুরু করেন। মাটিতে চিৎপাত হয়ে পড়ে থাকা চোরকে থরথর করে কাঁপতে দেখে বাকিরাও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তারা এসে চোরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় চুঁচুড়া হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হওয়ার পর চোরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, হেরোইনের নেশা রয়েছে ওই যুবকের। নেশার টাকা যোগাড় করতেই চুরি করতে যান তিনি। অভিযুক্তের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। সেখানে থেকে দু’জন চুঁচুড়ায় এসেছিলেন চুরি করতে। গৃহস্থের বাড়ি, মন্দিরে চুরির ছক কষেন।