বিধান সরকার: মন্দিরে চুরি করতে ঢুকেছিল ২ যুবক। মন্দির থেকে জিনিসপত্র নিয়ে বের হতেই আসপাশের লোকজন তাদের দেখে ফেলে। একজন পালাতে সক্ষম হলেও অন্যজন রাস্তায় পড়ে ছটফট করতে দেখা যায়। এনিয়ে চাঞ্চল্য শুরু হয় এলাকায়। রবিবার ওই ঘটনা ঘটে চুঁচুড়া পুরসভার পাঠকবাগান এলাকায়।
স্তানীয় সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে পাঠকবাগানের একটি মন্দিরে ঢোকে ২ যুবক। মন্দির থেকে তারা একটি ওভেন ও থালাবাসন নিয়ে বের হয়। সেইসব জিনিসপত্র নিয়ে বের হওয়ার সময় তাদের দেখে ফেলে স্থানীয় মানুষজন। তা দেখে এক যুবক দৌড় লাগায়। অন্যজন মাটিতে পড়ে ছটফট করতে থাকে। ওই যুবককে ঘিরে ধরে জনতা। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিস এসে ওই যুপবককে একটি টোটোতে তুলে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিত্সার পর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে থাকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিস জানিয়েছে, নেশার টাকা জোগাড় করতেই তারা মন্দিরে হানা দেয়। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি ও হালিশহর থেকে এসেছিল তারা। গৃহস্থ বাড়ির মন্দিরে ঢুকে পড়ে চুরির উদ্দেশ্য।
এদিকে, ওই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে, চোর কি সত্যিই অসুস্থ হয়েছিল, নাকি জনতার হাত থেকে বাঁচতে অসুস্থতার নাটক করেছিল? এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা জল্পনা।
স্থানীয় এক ব্য়ক্তি বলেন, আমার এক প্রতিবেশী আমাকে বললেন দেখো ওদের বাড়িতে কে ঢুকেছে। তখন ওই যুবককে জিজ্ঞাসা করা হয় তুমি কী নিয়েছ। একটা বাড়িতে তুমি ঢুকলে কেন? দেখা গেল একটা ওভেন ও একটা পাখা নিয়েছে। আমরা ওকে ধরে পুলিসে দিয়েছি। পুলিস তার মতো কাজ করবে। কিন্তু ওর যা অবস্থা তাতে দেখেই মায়া হয়। মৃগী রোগে আক্রান্ত। তিন চারবার ফিট হয়েছে। পুলিস যা করার করুক।