কালনার কোয়ালডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ও সন্তান প্রাক্তন সেনা কর্মী মেজর নরেশ দাস। তিনি প্রথম ১৯৮৪ সালে গোল্ডেন টেম্পল রক্ষার জন্যে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তারপর ১৯৮০ সালে শ্রীলঙ্কা যুদ্ধ এবং অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ কার্গিল যুদ্ধেও পাকিস্তানের মুখোমুখি লড়াই করেছিলেন মেজর নরেশ।
চোখের সামনে শহিদ হতে দেখে ছিলেন নিজের সাথীদের। ভয় না পেয়ে সাহসিকতার সঙ্গে পাকিস্তানকে পাল্টা জবাবও দিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ৬২ বছর বয়সে। সৈন্য থেকে অবসর নিলেও নিজের লড়াই থামিয়ে রাখেননি তিনি। গ্রামের ও সাধারণ মানুষের জন্যে থ্যালাসেমিয়া, দুঃস্থ মানুষদের জন্য রক্তের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কাজ চালিয়ে যান নরেশ বাবু। তাঁর এই সমাজ সেবার কাজের জন্যে গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগেই গ্রামের প্রবেশ পথে তাঁর জীবদ্দশাতেই আবক্ষ মূর্তি উম্মোচিত করেন। এই মূর্তি মানুষকে ভালো ও সমাজের সেবার কাজে উৎসাহিত করবে বলে জানান, গ্রামবাসী এবং নরেশ বাবু।