• সদস্য সংগ্রহে চাপ অনেক, বিয়েবাড়ির ভোজ খেতে গিয়েও কনের ‘মিস্‌ড কল’ নিলেন বিজেপির শমীক
    আনন্দবাজার | ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • সময় কমছে। দিল্লি এখনও বহু দূর! নভেম্বরের মধ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শেষ করতে হলে এখনই ঝড় তুলতে হবে রাজ্য নেতাদের। এমনই নির্দেশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। সেই লক্ষ্যে প্রতি দিন বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় গিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সদস্য সংগ্রহ করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে দলের অন্যান্য নেতা, সাংসদ, বিধায়কও সদস্যের খোঁজে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন বলেই বিজেপির দাবি। তবে, তার মধ্যেই নতুন ‘নজির’ গড়লেন বাংলায় বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শমীক ভট্টাচার্য। রাজ্যসভার সাংসদ শমীক শনিবার রাতে বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে কনেকেই বিজেপির সদস্য করে নিলেন!

    শনিবার কামারহাটি এলাকায় একটি পরিচিত পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শমীক। সঙ্গী কয়েক জন দলীয় কর্মী। কনের জন্য নিয়ে যাওয়া উপহার দেওয়ার পর্বই বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের অঙ্গ হয়ে ওঠে। শমীকের সঙ্গে থাকা এক বিজেপি কর্মী বলেন, ‘‘দাদা উপহার দেওয়ার পরে কনে নিজে থেকেই বলেন, আমি বিজেপির সদস্য হয়ে আপনাকে রিটার্ন গিফ্‌ট দিতে চাই। তার পরেই গোটাটা ঘটে।’’ কনের কাছে মোবাইল ফোন ছিল না। কিন্তু বিজেপির সদস্য হতে গেলে প্রথম শর্তই হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে মিস্‌ড কল দেওয়া। কনের বাড়ির লোকেরা সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইল ফোনটি এনে দেন। শমীক নিজে হাতে দেখিয়ে দেন কোন নম্বরে মিসড্ কল দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে শমীক বলেন, ‘‘শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। এখন এটাই আমাদের ব্রত। তাই যে কোনও অনুষ্ঠান বা জমায়েতে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে।’’ বিজেপির অন্য এক নেতা বলেন, ‘‘শমীকদা শনিবার যে কাজটা করেছেন তা দলের অনেকের কাছে প্রেরণার কাজ করবে। সবাই বুঝতে পারবেন, সঙ্কোচ না করে সদস্য হওয়ার আবেদন জানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপির সদস্য হতে চাওয়া মানুষ অনেক। আমাদের শুধু তাঁদের কাছে পৌঁছতে হবে।’’

    শমীক জানান, সকলের সামনে কনে সদস্য হওয়ার পরে বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিতেরাও অনেকে ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। এর পরে কার্যত একটি ক্যাম্প বসাতে হয়। শমীকের সঙ্গে যাওয়া কর্মীরাই সেই ক্যাম্প চালান এবং জনা কুড়ি সদস্য সংগ্রহ করেন। শমীকের সঙ্গে থাকা এক বিজেপি কর্মী আফসোসের সুরে বলেন, ‘‘অনেক রাত করে বিয়ে ছিল। ফলে বরযাত্রী আসে বেশি রাতে। আমরা তত ক্ষণ থাকতে পারলে আরও অনেকে হয়তো সদস্য হতেন।’’

  • Link to this news (আনন্দবাজার)