স্থানীয় সূত্রে খবর, ফোরশোর রোডের গঙ্গার ধারে রয়েছে ‘হাওড়া ভবন’ নামে একটি অনুষ্ঠান ভবন। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা নাগাদ ওই ভবনে বিয়ের জন্য তৈরি হওয়া একটি প্যান্ডেলের একাংশে আগুন লাগে। অল্প কিছু ক্ষণের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা প্যান্ডেল। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু থাকায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। আতঙ্কিত হয়ে আশপাশের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ।
জানা যাচ্ছে, হঠাৎ প্যান্ডেলের একাংশ জ্বলতে দেখেন অনুষ্ঠান ভবনের কর্মীরা। কিছু ক্ষণের মধ্যে গঙ্গার হাওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্রও। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর শুরু হয়। পরিস্থিতি দেখার পর আরও একটি ইঞ্জিন আনানো হয়। দমকল আধিকারিক তপন মণ্ডল জানিয়েছেন, বিয়ের মণ্ডপে আগুন লাগার খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। ভবনে বাঁশ দিয়ে একটি প্যান্ডেল তৈরি হয়েছিল। সেখানে প্রথমে আগুন লাগে। সেখান থেকে গোটা ভবনটি আগুনের গ্রাসে চলে যায়। ভবনের প্রচুর জিনিসপত্র পুড়ে গিয়েছে।
কী ভাবে আগুন লেগেছে, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকে বিপত্তি ঘটেছে। যে সময় আগুন লেগেছে, তখন ওই জায়গায় কেউ ছিলেন না। তাই হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। দমকল আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ভবনে অগ্নি নির্বাপনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ভবনের দায়িত্বে থাকা কোনও ব্যক্তির দেখা মেলেনি।
অখিলেশ গুপ্ত নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর ভাইঝির বিয়ে রয়েছে আগামী ২২ নভেম্বর। তারই প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল ‘হাওড়া ভবন’-এ। প্রস্তুতি দেখতে এসে আগুন লাগার খবর পান তিনি। পরিস্থিতি দেখে মাথায় হাত পড়েছে ওই ব্যক্তির। তিনি বলেন, ‘‘সবই ঠিকঠাক ছিল। ভাইঝির বিয়ের জন্য সব কিছুই প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে এমন একটি দুর্ঘটনা... এত অল্প সময়ের মধ্যে অন্য কোথাও কী ভাবে ‘ম্যারেজ হল’ ভাড়া করব বুঝতে পারছি না।’’
অন্য দিকে, দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নেভানো গেলেও ভবনের ছাদ এবং সিলিংয়ের একাংশ এখনও ধিকি ধিকি করে জ্বলছে। সেটা নেভানোর চেষ্টা চলছে।