আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে অভিষেকের কন্যার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে দুই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, হেফাজতে নিয়ে তাঁদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় হাই কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দেন, ওই দুই মহিলাকে হেফাজতে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করবে। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করলে যে কোনও অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। তাদের বক্তব্য, ওই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত করা যেতে পারে। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, ওই ঘটনায় আপাতত সিবিআই তদন্ত করতে পারবে না। রাজ্যের গঠিত সিটও আপাতত নিষ্ক্রিয় থাকবে। রাজ্যকে সাত জন আইপিএস অফিসারের নাম জমা দিতে হবে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন মহিলা অফিসার থাকবেন।
কারা থাকবেন ওই সাত জনের তালিকায়? সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের বাইরে কাজ করছেন, এমন আইপিএস অফিসারদের নাম দিতে হবে। তবে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের হতে পারবেন। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে সিট গঠন করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবী সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশ মেনে শনিবার সাত আইপিএস অফিসারের নাম জমা পড়েছে শীর্ষ আদালতে।