শুভেন্দুর সঙ্গে বাঙালি ভোটারদের মত বিনিময়ের জন্য পৃথক দু’টি মঞ্চ সাজিয়েছিল বিজেপি। রবিবার সকালের বিমানে কলকাতা থেকে মুম্বই যান তিনি। মুম্বই বিমানবন্দরে নামলে সেখান থেকেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দাদর এলাকায়। সেখানেই মুম্বই ও শহরতলী এলাকার ২৭টি আসনে বসবাসকারী বাঙালি ভোটারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিজেপির তরফে। সেখানে গিয়ে সর্বভারতীয় বিজেপির অন্যতম বাঙালি মুখ শুভেন্দু মুখোমুখি হন বাঙালি ভোটারদের। মহারাষ্ট্রে কেন বিজেপির নেতৃত্বাধীন মহাদ্যুতি সরকারকে ফিরিয়ে আনা জরুরী, সে বিষয়ে বাংলায় বাঙালি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ভোটারদের জন্য মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি, বাংলার রাজনীতি নিয়েও কথা বলতে হয় শুভেন্দুকে। বেশ কিছু মানুষ তাঁর কাছে বাংলার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার দাবিও তোলেন। আবার অনেকে ২০২৬ সালে বাংলায় পরিবর্তন আদৌ সম্ভব কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট জবাব চান।
বিকেলে তাঁকে মহারাষ্ট্র বিজেপির তরফে নিয়ে যাওয়া হয় পুণের একটি অনুষ্ঠানে। আটটি বিধানসভা এলাকা থেকে আসা বাংলাভাষী মানুষ সেখানেও শুভেন্দুকে রাজনৈতিক প্রশ্নের মুখে ফেলেন। সেই সভার আলোচনার বিষয় ছিল ‘জাগো বাঙালি জাগো, জাগ্রত বাংলা’। সেখানেই শুভেন্দুর হাতে তুলে দেওয়া হয় ছত্রপতি শিবাজির মূর্তি। নিজের বক্তৃতায় বাঙালি সমাজের কাছে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি আপনাদের এখানে প্রচার করে গেলাম। শুধু আপনাদের কাছে আশা করব, ২০ তারিখে আপনারা বিজেপিকে ভোট দিয়ে আমাকে ফোনে মেসেজ করে জানাবেন যে আমরা মহারাষ্ট্রে আবারও বিজেপির নেতৃত্বে সরকার গঠন করতে ভোট দিয়েছি।’’ মঞ্চ ছাড়ার পরেও, পুণের বাঙালি সমাজের বড় অংশ তাঁর কাছে বাংলার পরিবর্তন আনার অনুরোধ জানান।
পুণে থেকে আনন্দবাজার অনলাইনকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সকালে দাদরে ২৭টি বিধানসভা এলাকার বাঙালি সমাজ এবং সন্ধ্যায় পুণেতে আটটি বিধানসভা এলাকার বাঙালি সমাজের প্রতিনিধিরা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। সেখানে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে যেমন আলোচনা করেছি, তেমনই আবার বাংলার রাজনীতি নিয়েও কথা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপির নেতৃত্বে সেখানকার বাঙালিরা বাংলার পরিবর্তন দেখতে চান। আমাকে তাঁরা এ বিষয়ে জানিয়েছেন। আমিও পাল্টা তাঁদের অনুরোধ করে এসেছি, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের একমাস আগে বাংলা আসুন। বাংলায় থেকে বাংলার রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে অংশ নিন।’’
দু’টি রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি, বিজেপির নির্বাচনী সদর দফতরে একটি সাংবাদিক বৈঠকেও করেন শুভেন্দু। পরে মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দিতে যান তিনি।