হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ভি সাই (১৮)। তিনি খড়্গপুর শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বন্ধু আনন্দ সরকার জানাচ্ছেন, রবিবার দুপুরে তাঁরা মোহনপুর এলাকায় কাঁসাই নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় জলে তলিয়ে যান ওই যুবক। আনন্দের দাবি, সে সময় চত্বরে অনেকে উপস্থিত থাকলেও কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। প্রত্যক্ষদর্শীরা কেউ উদ্ধারকাজে হাত তো লাগানইনি, উল্টে টাকাও চেয়ে বসেন কেউ কেউ। শেষমেশ যুবককে কোনও মতে উদ্ধার করে বেলা সাড়ে ৪টে নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে এমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
যদিও যুবকের পরিবারের দাবি, প্রায় ৪০ মিনিট ও ভাবে পড়ে থাকার পরেও ধীরগতিতে চলছিল তাঁর হৃৎস্পন্দন। কিন্তু সে কথা চিকিৎসকদের বার বার বলা সত্ত্বেও কেউ চিকিৎসায় এগিয়ে আসেননি। শেষমেশ যখন যুবককে অক্সিজেন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়, তত ক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রোগীদের পরিজনেরা। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী।
বিক্ষোভরত পরিজনেরা জানাচ্ছেন, যুবকের দেহের ময়নাতদন্ত করবে পুলিশ। কিন্তু পাশাপাশি যে সব চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার ফিদা হোসেন বলেন, ‘‘হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেও চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে মৃত্যু হয়েছে ১৮ বছর বয়সী ভি সাইয়ের। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসককে জানানো হবে। থানাতেও এফআইআর দায়ের করা হবে।’’