• পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢাল করেছিল ট্যাব কেলেঙ্কারিতে যুক্ত প্রতারকরা
    বর্তমান | ১৮ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: মালদহের বৈষ্ণবনগরের চকসেহেদি গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু শেখ। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে। রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করে দিনে ৩০০ টাকা আয় করত। পুজোর পর সাইবার প্রতারকদের এজেন্ট তার কাছে হাজির হয়। অ্যাকাউন্ট ‘ভাড়া’ দেওয়ার  পরামর্শ দেয়। এক থেকে দেড় হাজার টাকা তাকে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। সে রাজি হয়ে যায়। পরে দফায় দফায় সাইবার প্রতারকরা তার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে থাকে। সে নিজেও কয়েক দফায় টাকা তুলে দেয়। এরপরই পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। শুধু পিন্টু নয়, উত্তর দিনাজপুরের ২৪ বছরের এক  শ্রমিক কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। সেখানেও প্রতারকদের এজেন্ট হাজির হয়ে যায়। সেরাজ্যে একটি ব্যাঙ্কের শাখায় তার অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় পরিচয়পত্র সে-ই জোগাড় করে দেয়। চোপড়ার কয়েকজন শ্রমিক বিহারের কিষানগঞ্জে অ্যাকাউন্ট খোলে। তাদেরও অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেওয়া হয়। পুলিস জানতে পেরেছে, ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় সবচেয়ে বেশি টাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে।


    কেন তাদের টার্গেট করা হল? এক আধিকারিক বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকেই চার-পাঁচ মাস বাড়ি ফেরেন না। কেরল, রাজস্থান বা মহারাষ্ট্রে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের অনেকেই বছরে এক-দু’বার বাড়ি ফেরেন। তাঁরা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই বাড়িতে টাকা পাঠান। অনেকেরই একাধিক ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। দিনের পর দিন একই জায়গায় থাকায় তাঁদের অ্যাকাউন্ট খুলতেও তেমন সমস্যা হয় না। মালদহ, মুর্শিদাবাদ বা উত্তর দিনাজপুরের পরিযায়ী শ্রমিকরা সারা দেশে ছড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হলে ধরা পড়ার আশঙ্কা কম। এমন ধারণা ছিল তাদের। এই সমস্ত কারণে তারা পরিযায়ী শ্রমিকদেরই বেছে নিয়েছিল। তদন্তকারীরা ভিন রাজ্যে গিয়ে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের মতে, যাদের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে 
  • Link to this news (বর্তমান)